চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বরেন্দ্রভূমির প্রত্যন্ত এলাকা বড়বন সাঁওতাল গ্রামে বসবাস করে ৩৭টি পরিবার। সবাই দিনমজুর ও নানা কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করে। শীতের এই সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার পক্ষ থেকে কম্বল পেয়ে সাঁওতাল পরিবারের সদস্যদের মুখে ফুটে উঠেছে স্বস্তির হাসি।
কম্বল পেয়ে বৃদ্ধা চুনিয়া মুর্মু (৭০) আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘বলা নাই, কহা নাই, তোরা আসিয়ে কম্বলটো দিলি। খুব ভালো হইলো। জাড়ে (শীতে) আরাম পাবো। তোরা ভালো থাকিস রে বাপ।’
অন্যদিকে আমনূরা সুইপার কলোনির বাসিন্দা শিবরাজ বাঁশফোড় কম্বল পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
১৫ ডিসেম্বর সকালে শীতের কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার বন্ধুরা ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছান সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের বড়বন সাঁওতাল গ্রাম ও আমনূরা সুইপার কলোনির হরিজনপল্লিতে। সেখানে মোট ৫৫টি পরিবারের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। এর আগে পৌর এলাকার ২৭টি দরিদ্র পরিবারের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছিল। এই মানবিক উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা করেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আঞ্জুমান আরা।
কম্বল বিতরণ শেষে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী নাগরা, হারমোনিয়াম ও মাদলের সুরে গান পরিবেশন ও নৃত্য প্রদর্শন করেন। প্রাণবন্ত এই আয়োজনে বন্ধুসভার বন্ধুরাও তাঁদের সঙ্গে নাচে-গানে মেতে ওঠেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার উপদেষ্টা আবদুস সাত্তার, আনোয়ার হোসেন, সভাপতি আরাফাত মিলেনিয়াম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান, বন্ধু সাবরিন আখতার, মানসুরা খাতুন ও মুশফিক মাহাদি। তাঁরা জানান, সমাজের পিছিয়ে পড়া ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
সভাপতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা