ভাষা আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণ করলেন বন্ধুরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে চবি বন্ধুসভার পুষ্পস্তবক অর্পণছবি: বন্ধুসভা

‘প্রভাতফেরি, প্রভাতফেরি
আমায় নেবে সঙ্গে,
বাংলা আমার বচন, আমি
জন্মেছি এই বঙ্গে।’

কবি আল মাহমুদের কবিতার এই লাইনগুলোকে প্রেরণা ধারণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা একুশে ফেব্রুয়ারি ভোরবেলাতেই পুব আকাশে সূর্যের আলো ফুটতে না ফুটতেই বেরিয়ে পড়েন শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তাঁরা।

এ সময় বন্ধুরা একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ভাষা আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণ ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এই চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সাধারণ সম্পাদক আলী আকরাম বলেন, ‘আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই বীরদের, যাঁদের আত্মত্যাগেই আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি।’

পৃথিবীর ইতিহাসে অত্যন্ত বিরল ঘটনা নিজ মাতৃভাষার জন্য জীবন দেওয়া। অথচ দুঃখের বিষয়, ভাষার অধিকার আদায়ের ৭৩ বছরেও সর্বত্র বাংলার প্রচলন হয়নি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি মিললেও সাইনবোর্ড, ফেস্টুন থেকে শুরু করে সবখানে ইংরেজির ছড়াছড়ি। সবার উচিত শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষাকে উপস্থাপন করা। আগে নিজের ভাষাকে ভালো করে শিখে তবেই অন্য ভাষার চর্চা করা। শুধু বিশেষ দিবসে নয়, সব সময় বাংলাকে ধারণ করতে হবে আমাদের চিন্তা, চেতনা ও মননে।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রুগড়া ফেব্রুয়ারিকে শুধু এক দিনের ফ্রেমে সীমাবদ্ধ না রেখে একুশের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শহীদ পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। সত্যিকার অর্থে সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলন ও বাংলাকে ভালোবাসতে পারলে তবেই বীর শহীদদের আত্মত্যাগের মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি নুসরাত পাইরিন, ফাল্গুনী ভট্টাচার্য, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজিদ আনোয়ার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এখলাস বিন সুলতান, আহনাফ হাসানসহ অন্যান্য বন্ধুরা।