শরতের আকাশ, সূর্যের তীব্র আলো, শারদীয় উৎসবের আনন্দ, বাতাসে পাতার মর্মর ধ্বনি, আর দূরে কোথাও বাচ্চাদের হেসে ওঠার শব্দ—সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত শান্তি আর আভিজাত্যের মিশ্রণ। এই প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক আবহে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় পটিয়া মুন্সেফ বাজারের পেছনের মমতা আবাসিক মোড়ে ফুলের মালা হাতে মিলিত হন পটিয়া বন্ধুসভার সদস্যরা।
গন্তব্য বাংলা সাহিত্যের অমর পুঁথি–গবেষক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের সমাধি। সেখানে পৌঁছে বন্ধুরা ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি মোনাজাতের প্রতিটি শব্দে মনীষীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ফুটে ওঠে।
এরপর সাহিত্যবিশারদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয় পাঠচক্রের আসর। বিষয় ছিল ড. আহমদ শরীফ রচিত ‘আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ’ বই। পাঠচক্রে সভাপতিত্ব করেন ফারুক আহমেদ, বক্তব্য দেন পটিয়া বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি প্রান্ত বড়ুয়া। অধ্যাপক সাগর দাশ মনীষীর সাহিত্য ও গবেষণার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন, নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেন। তিনি বলেন, ‘আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ শুধু পুঁথি–গবেষক ছিলেন না, তিনি বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির এক চিরন্তন প্রদীপ।’
সাহিত্যবিশারদের উত্তরসূরি জাহেদুল পাশা তাঁর স্মৃতি রোমন্থনের মাধ্যমে মনীষীর জীবন ও সাহিত্যকর্মের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো সবার সামনে জীবন্ত করে তোলেন। জাহেদুল পাশা বলেন, ‘প্রতিটি পুঁথি আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিত হয়। মনীষীর সংগ্রহ, অধ্যবসায় ও ভালোবাসা আমাদের সেই সংযোগকে আরও উজ্জ্বল করেছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্ধুসভার বন্ধু আইরিন সুলতানা, জেবু চৌধুরী, জিন্নাত আরা, হুমাইরা, মিতু, সামিয়াসহ অন্য বন্ধুরা।
সাধারণ সম্পাদক, পটিয়া বন্ধুসভা