‘নিরপেক্ষতার কারণেই মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে প্রথম আলো’
রাজবাড়ীতে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে প্রথম আলোর রজতজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়েছে। ৫ নভেম্বর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এর আয়োজন করে রাজবাড়ী বন্ধুসভা।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি এজাজ আহম্মেদ। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসনে আরা খাতুন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ের অধিকাংশ মিডিয়া সত্য তথ্য প্রকাশ করতে চায় না। মানুষের আশানুরূপ সংবাদ প্রকাশ করে না। প্রথম আলো সব সময় পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে। প্রথম আলো বিভিন্ন নৈতিকতা-নীতিমালা মেনে চলে। আমরা আশা করব, প্রথম আলো মানুষের আরও কাছে পৌঁছে যাবে। দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাবেক সভাপতি চিকিৎসক সুনীল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘শুরু থেকেই প্রথম আলোর সঙ্গে আছি। প্রতিদিন সকালে প্রথম আলো পাঠ করা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। তবে প্রথম আলোর কাছ থেকে আরও বেশি ইতিবাচক খবর প্রত্যাশা করি। আরও বেশি বেশি খবর পেতে চাই। কারণ, দেশটা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। লাখো শহীদ প্রাণ দিয়েছেন। দেশের নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দারুণ দারুণ অবদান রাখছেন।’ এ সময় তিনি স্বরচিত একটি কবিতা পাঠ করে শোনান।
প্রবীণ রাজনীতিবিদ আবদুস সামাদ মিয়া বলেন, ‘২৫ বছর অনেক সময়। দেখতে দেখতে প্রথম আলো ২৫ বছর পার করেছে। তবে এই চলার পথ মসৃণ ছিল না। নানা চড়াই-উতরাই মোকাবিলা করতে হয়েছে। এখনো মোকাবিলা করতে হচ্ছে। নিরপেক্ষতার কারণেই সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে। আর নৈতিকভাবে দৃঢ় হওয়ার কারণে নানা বিপদেও মাথা নত করতে হয়নি।’
আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক দীপক কুমার কর্মকার, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকীর শাহাদাত হোসেন, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক খায়ের উদ্দিন আহমেদ ও রাজবাড়ী বন্ধুসভার সভাপতি আরিফুর রহমান। সঞ্চালনা করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিতা চক্রবর্তী।
সংগীত পরিবেশন করেন অধ্যাপক দীপক কুমার কর্মকার, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার, বন্ধুসভার পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক অর্পনা রায় ও কানিজ ফাতেমা। বেহালায় সুর তোলেন প্রাচুর্য দত্ত। নাচ পরিবেশন করেন বইমেলা সম্পাদক অদ্রিজা চক্রবর্তী, সমৃদ্ধি সরকার ও ঐশ্বর্য সরকার। কবিতা আবৃত্তি করেন জামালপুর কলেজের প্রভাষক গোলাম মোর্তজা সাগর, বেথুলিয়া বারলাহুরিয়া সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ফাহমিদা সুলতানা ও স্কুলশিক্ষার্থী নবমী সাহা। সব শেষে তিন ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।