পুরুষের জীবনে যত বড় অর্জন রয়েছে, তার সিংহভাগ অবদানই নারীর বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বন্ধুসভার উপদেষ্টা সঞ্জয় বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাজীবনে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করে নারী শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পেশাগত জীবনে দেখা যায় তার উল্টো চিত্র। নারীরা তাদের পেশায় যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বাধার সম্মুখীন হয় এবং কাঙ্ক্ষিত পেশায় নিযুক্ত হতে পারে না।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা। ‘পুরুষদের জীবনে নারীর ভূমিকা’ শিরোনামে ৯ মার্চ বিকেলে অনলাইনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি ইব্রাহিম তানভীর বলেন, ‘পুরুষের জীবনে নারীর ভূমিকা কখনো একটা ছকে সাজানো যাবে না। আজকে আমি যে কথা বলছি, তার পেছনেও রয়েছে নারীর ভূমিকা। এ জীবনে যদি কাছে কেউ বা একান্ত আপন কেউ হয়ে থাকেন, তিনি হলেন মা। মায়ের কাছে সব বলা যায়।’
সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খান বলেন, ‘আমি সারা দিন বাইরে থাকি। চাকরি, সংগঠনসহ নানাবিধ কাজে সারা দিন ব্যস্ত থাকি। বাসায় যখন ফিরি, তখন মায়ের স্নেহ আর স্ত্রীর যত্নে সব ক্লান্তি ও কষ্ট দূর হয়ে যায়। প্রতিটা কাজে মা ও স্ত্রীর অনুপ্রেরণাই আমাকে দীপ্ত রাখে এবং নতুন উদ্যমে চলতে সাহায্য করে।’
উপদেষ্টা শিহাব জিশানের বক্তব্যে উঠে আসে তাঁর এক শিক্ষিকার কথা। শিহাব জিশান বলেন, ‘আমার স্কুলে একজন শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি প্রতিদিন আমাকে নিয়ে যেতেন এবং যখন বড় হই, তখন আমাকে বড় করতে ওনার স্ট্রাগল সম্পর্কে শুনতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার যে পেশা লেখালেখি, তা–ও শুরু হয়েছে একজন নারীর কারণে।’
সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বর্তমান পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ক্ষমতার উৎসে পুরুষদের অবস্থান। আমরা যদি সমমর্যাদার ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমাজ গড়তে চাই, তাহলে অবশ্যই পুরুষদের আরও আন্তরিক ও সহনশীল হতে হবে এবং নারীদের জন্য স্থান ছাড়তে হবে। নারীদের জন্য এ সমাজকে নিরাপদ করতে হলে নারী অধিকার সম্পর্কে পুরুষদের বেশি জানাতে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
অনুষ্ঠানটি চট্টগ্রাম বন্ধুসভার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ সম্প্রচারিত হয়। সঞ্চালনা করেন বন্ধু পূর্ণা চৌধুরী।
সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা