‘মানবিক কাজে এগিয়ে আসাটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণছবি: বন্ধুসভা

কনকনে শীতে দিনভর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে আকাশ। এদিকে দেখা মিলছে না সূর্যের। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হিমেল হাওয়া। তীব্র ঠান্ডায় কাঁপছে মানুষ। শুধু রাতে নয়, দিনেও মানুষের ঘর থেকে বের হতে কষ্ট হচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে রাজশাহীতে বিরাজ করছে এ অবস্থা। শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ।

তাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরা প্রতিবছরের মতো এবারও শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। ২৬ জানুয়ারি বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজউদ্দীন কলাভবনের সামনে বন্ধুসভা চত্বরে এটি অনুষ্ঠিত হয়। বিতরণ কার্যক্রম সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রহিমা সিদ্দিকী।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার উপদেষ্টা সাদেকুল আরেফিন মাতিন বলেন, ‘পরিমাণে কয়টা কম্বল দেওয়া হচ্ছে, ওটা বড় বিষয় নয়। মানবিক কাজে এগিয়ে আসাটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাবি বন্ধুসভার বন্ধুরা মানবিক মানুষ। তাঁদের দ্বারাই এ ধরনের কার্যক্রম সম্ভব।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ
ছবি: বন্ধুসভা

বন্ধুসভার সভাপতি তুহিনূজ্জামান বলেন, ‘রাবি বন্ধুসভা মানবিক কাজের সঙ্গেই থাকে। অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে আমরা নতুন কমিটির কার্যক্রম শুরু করছি। আশা করি, সারা বছর ভালো কাজ করার মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যেতে পারব।’

দুর্দিনে কম্বল পেয়ে বয়স্ক নারী নাসিমা খাতুন (ছদ্মনাম) বলেন, ‘সবাই কয় আমরা কম্বল পাইছি, কেউ আর দেয় না! টেকার অভাবে কিনতেও পারি না। তুমহার এই কম্বল পাওয়নে আইজকা আমি আরাম করি ঘুমাইতে পারুম।’

শীতবস্ত্র বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা সুরুজ সরদার, সহসভাপতি মীর আল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাবাসসুম জান্নাত, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মৌ সিং, প্রচার সম্পাদক সবুজ কুমার রায়, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহানা ইসলাম, ম্যাগাজিন সম্পাদক শরিফা নাজমিন, মেহেদী হাসান, শাহ্‌জাহান, আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।

প্রচার সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা