নোয়াখালী মুক্ত দিবসে বন্ধুদের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোচনা সভা

নোয়াখালী শহরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে বন্ধুদের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
ছবি: বন্ধুসভা

৭ ডিসেম্বর ছিল নোয়াখালী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত এবং রাজাকারদের প্রধান ঘাঁটি দখলের মধ্য দিয়ে নোয়াখালীকে মুক্ত করে লাল সবুজের বিজয় নিশান উড়িয়েছিল বীর মুক্তিসেনারা।

নোয়াখালী মুক্ত দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় নোয়াখালী শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এবং তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুরা। জ্বলন্ত মোমবাতি দিয়ে বন্ধুরা নোয়াখালীর মানচিত্র এঁকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হতে নোয়াখালী মুক্ত হওয়ার একান্ন বছর উদ্‌যাপন করেন।

জ্বলন্ত মোমবাতি দিয়ে নোয়াখালীর মানচিত্র
ছবি: বন্ধুসভা

এর আগে বিকেল ৪টায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে আয়োজন করা হয় ‘মুক্তিযুদ্ধে নোয়াখালী’ শীর্ষক আলোচনা সভা। সেখানে বন্ধুরা মুক্তিযুদ্ধ ও নোয়াখালী নিয়ে আলোচনা করেন। জেলাটির ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধে নোয়াখালীর প্রেক্ষাপট সবার মধ্যে তুলে ধরতে নোয়াখালী বন্ধুসভার তৈরি করা একটি ডকুমেন্টারি সভায় উপস্থাপন করা হয়।

এ ছাড়া আয়োজন করা হয় কুইজ প্রতিযোগিতা। কুইজে বিজয়ী হন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করে শোনান বন্ধু আমিনুল সৈকত। সাধারণ সম্পাদক সিফাত বিল্লাহ বিজয়ের মাসজুড়ে নোয়াখালী বন্ধুসভার বিভিন্ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা সম্পর্কে বন্ধুদের অবগত করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বন্ধুসভার উপদেষ্টা সুমন নূর, অর্থ সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন, প্রচার সম্পাদক জ্যানিসা আফরোজ, দপ্তর সম্পাদক আবদুর রহিম, জেন্ডার সমতাবিষয়ক সম্পাদক উম্মে রুম্মান, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক উম্মে ফারহীন, বন্ধু আলতাফ পুলক, আফরিনা আনিকা, মেহেরাজ ফয়সালসহ অন্য বন্ধুরা।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা