তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘কবি’ উপন্যাস নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে জামালপুর বন্ধুসভা। ১৬ মে বিকেলে আশেক মাহমুদ কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
উপন্যাসে খুনির কন্যার ঘরের নাতি, ঠ্যাঙাড়ের পুত্রের ঘরের নাতি, ডাকাতের ভাগনে, সিঁধেল চোরের পুত্র নিতাইচরণ, যে কিনা কবি হয়ে উঠল, সবার সে কি অবস্থা! এ কীভাবে সম্ভব? ডাকাত দলে নিজেকে আত্মসমর্পণ না করে সে বসবাস শুরু করে স্টেশনে আর সেখানে রাজা নামক মুটের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। রাজার আত্মীয় ঠাকুরঝি বলা হতো যাকে, সে দুধ বেচতে আসত, কবির মনে ধরে যায় তাকে। তার বরন কালো হওয়া সত্ত্বেও সে পদ্য লেখে, ‘কালো যদি মন্দ তবে কেশ পাকিলে কাঁদ ক্যানে?’
সারা গ্রামে জানাজানি হওয়ায় সে চলে যায় গ্রাম থেকে দূরে কোথাও। যুক্ত হয় ঝুমুর দলের সঙ্গে। ঝুমুর দলে গিয়ে তার জীবনে বসন্তের আগমন ঘটে আর মোড় ঘুরে যায় কাহিনির। জটিল রোগে বসন্তের মৃত্যু ঘটায় স্বাভাবিকভাবে না নিতে পেরে সে ফিরে যায় গ্রামে, জানতে পারে ঠাকুরঝিরও মৃত্যু হয়েছে। নিতাই পাহাড়সমান কষ্ট বুকে চেপে আফসোস করে বলে, ‘জীবন এত ছোট ক্যানে?’
বন্ধু, জামালপুর বন্ধুসভা