সাতক্ষীরা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে রহিমা সুলতানা (২১) ও মোটরশ্রমিক রাসেল হোসেনের ছোট্ট সংসার। কোনোমতে দুই বেলা দুমুঠো খেয়ে তাঁদের দিন কাটে। এরই মধ্যে একদিন রাসেল হোসেন জানতে পারেন স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। খুশির খবর জেনেও তাঁর মুখে অন্ধকার। কারণ, স্ত্রীকে ভালো ডাক্তার দেখাতে হবে, পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে, যা তাঁর স্বল্প আয়ে খরচ মেটানো প্রায় অসম্ভব। তবু স্ত্রীকে সিজার করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
সম্প্রতি সাতক্ষীরা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই দম্পতির কোল আলোকিত করে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে। খরচও হয়েছে অনেক। এ কারণে কন্যার জন্য ভালো কিছু কিনতে পারছিলেন না রাসেল হোসেন। এটি জানতে পেরে সাতক্ষীরা বন্ধুসভা পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে।
১২ জুলাই সকালে হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির পরিবারের হাতে ‘বেবি সুরক্ষা কিট’ নামের একটি উপহারের বাক্স তুলে দিয়েছেন বন্ধুসভার বন্ধুরা। এ বাক্সে ছিল মশারি, বিশেষ সাবান, স্যাভলন, নতুন পোশাক, তোয়ালে, নবজাতককে শোয়ানোর জন্য শিটসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী ফিরোজ, সাতক্ষীরা বন্ধুসভার সভাপতি কর্ণ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের ও দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক মো. পারভেজ। এ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছেন প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শম্পা গোস্বামী ও বন্ধুসভার উপদেষ্টারা।
বন্ধুরা বলেন, ‘আমরা দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে মা ও নবজাতক শিশুর পাশে দাঁড়িয়েছি। ভবিষ্যতেও বন্ধুসভা শিশুদের পাশে থাকবে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বন্ধুসভার উদ্যোগে প্রতি মাসে অন্তত এমন একজন করে শিশুর পাশে দাঁড়াব আমরা।’
সভাপতি, সাতক্ষীরা বন্ধুসভা