স্বপ্নদ্রষ্টা মানুষেরা আছেন বলেই হারবে না বাংলাদেশ

সুধী সমাবেশ শেষে অতিথিদের সঙ্গে ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: সাইফুর রহমান

১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ভৈরব উপজেলার বঙ্গবন্ধু হলরুম থেকে ভেসে আসে সমারোহে ‘এসো হে পরমতর/ সুন্দর এসো হে’। গানটিতে দলগত নৃত্য পরিবেশন করেন ভৈরব বন্ধুসভার জান্নাতুল ফেরদৌস, অন্বেষা ও অর্পিতা। এই নাচের মাধ্যমেই প্রথম আলোর রজতজয়ন্তী উপলক্ষে প্রীতিসম্মিলনীর শুভ সূচনা হয়। সঞ্চালনা করেন কার্যনির্বাহী সদস্য প্রিয়াংকা, সাধারণ সম্পাদক রিফাত হোসেন ও অর্থ সম্পাদক মানিক আহমেদ।

‘প্রথম আলোতে আমার ২৩ বছর হলো। সূচনালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত পাঠকের আস্থা রেখেছে প্রথম আলো। প্রথম আলো শুধু একটি পত্রিকা নয়, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণও মাধ্যমও বটে’—স্বাগত বক্তব্যে কথাগুলো বলেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন মোল্লা। এরপর ২৫ জন বন্ধু ২৫টি লাল গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তাঁকে। সভাপতি নাহিদ হোসাইন একটি স্মৃতিস্মারক তুলে দেন।

প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম বাকী বিল্লাহ, সমাজকর্মী সেলিম খান, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও সাংবাদিক সমিতি ভৈরব শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান ফারুক, ভৈরব বইমেলা পরিষদের উপদেষ্টা আতিক আহমেদ, অধ্যাপক উলফাত আরা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, প্রথম আলো সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নেও অবদান রাখছে। প্রথম আলো বন্ধুসভা নতুন প্রজন্মকে দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়ে তুলছে। এমন স্বপ্নদ্রষ্টা মানুষেরা আছেন বলেই হারবে না বাংলাদেশ।

প্রতিক্রিয়ার ফাঁকে ফাঁকে চলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ‘এই গা ছুঁয়ে বলো’ গানে নাচ পরিবেশন করেন দপ্তর সম্পাদক আনাস খান ও বন্ধু প্রাপ্তি ঘোষ। ‘হৃদয়ে লিখেছি তোমারি নাম’ গানে নাচ পরিবেশন করেন মানিক আহমেদ ও সামিয়া সিদ্দিকা। ‘পুনর্মিলনে’ নামে একটি স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন কার্যনির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা ও প্রচার সম্পাদক মহিমা মেধা। গান পরিবেশন করেন জান্নাতুল ফেরদৌস, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহরিয়ার ইবাদ, বন্ধু মোশাররফ রাব্বি।

পুরোনো দিনের বিখ্যাত গানগুলো নিয়ে একটি বিশেষ একটি পরিবেশনায় অংশ নেন সভাপতি নাহিদ হোসাইন, কার্যনির্বাহী সদস্য প্রিয়াংকা, সাধারণ সম্পাদক রিফাত হোসেন, ম্যাগাজিন সম্পাদক রাহিম আহমেদ, জেন্ডার ও সমতা সম্পাদক তানশি নাহার, অর্থ সম্পাদক মানিক আহমেদ, বন্ধু প্রাপ্তি ঘোষ, অন্বেষা, জিহাদ খান, মোশারফ রাব্বি ও হাসিবুল। ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ গানটিতে যখন বন্ধুরা একসঙ্গে মঞ্চে উঠলেন, তখন উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে পিনপতন নীরবতা। সবাই যেন ফিরে গিয়েছিলেন ফেলে আসা সেই দিনগুলোতে।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
ছবি: সাইফুর রহমান

উপদেষ্টা ওয়াহিদা আমিনের নেতৃত্বে ভৈরব বন্ধুসভার নতুন বিবাহিত বন্ধুদের নিয়ে বিশেষ একটি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে যুক্ত ছিলেন উপদেষ্টা রাকিব হোসাইন, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য ইকরাম বখশ, সাধারণ সম্পাদক নয়ন আহমেদ, আজহারুল ইসলাম ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান দিপ।

সভাপতি নাহিদ হোসাইন বলেন, ‘প্রথম আলো পত্রিকার সঙ্গে সখ্য বাড়ে বন্ধুসভায় যুক্ত হওয়ার পর। প্রথম আলো তরুণদের জন্য কাজ করে, সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করে। সৃজনশীল কাজগুলো দিয়েই এগিয়ে যাবে প্রথম আলো, হারবে না বাংলাদেশ।’

আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আলাল উদ্দিন, জনি আলম, লুবনা হক, সুমাইয়া হামিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিদরাতুল রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক এরফান হোসেন, পাঠচক্র ও পাঠাগার সম্পাদক জান্নাতুল মিশু, বন্ধু জুয়েনা, শাদাব, জ্যোতি।

অর্থ সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা