বন্ধুর বই সংগ্রহ কর্মসূচি

ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুর বই সংগ্রহ কর্মসূচিছবি: বন্ধুসভা

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছিল জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। এ উপলক্ষে ভৈরব বন্ধুসভা আয়োজন করে তিন দিনব্যাপী ‘বন্ধুর বই সংগ্রহ কর্মসূচি’। ৩, ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলো ভৈরব কার্যালয়ে চলে এই কর্মসূচি। গ্রন্থ ও গ্রন্থাগারকেন্দ্রিক বিভিন্ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে ভৈরব বন্ধুসভার নতুন-পুরোনো বন্ধুরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। জ্ঞানচর্চার প্রতি ভালোবাসা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে সবাই নিজেদের পঠিত বই প্রদান করেন।

তিন দিনের এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বই সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি আরও কিছু বইয়ের সংগ্রহ প্রক্রিয়া চলমান। বইগুলো ভৈরব বন্ধুসভার নিজস্ব গ্রন্থাগারে সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা পাঠকদের জ্ঞানচর্চায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বন্ধু রাকিব হোসাইন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘বাসায় পড়ে থাকা বইগুলো আর ধুলো জমে নষ্ট হবে না। ভৈরব বন্ধুসভার সচল পাঠাগারে বই প্রদানের মাধ্যমে আমরা অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিতে পারছি—এটাই আনন্দের বিষয়।’

উপদেষ্টা সুমাইয়া হামিদ বলেন, ‘ভৈরব বন্ধুসভা বরাবরই মুদ্রিত বই পাঠে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। বই ও পাঠাগারকে কেন্দ্র করে সংগঠনের নানা উদ্যোগ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’

সভাপতি জান্নাতুল মিশু বলেন, ‘ভৈরব বন্ধুসভার এই উদ্যোগ পাঠকদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে এবং গ্রন্থাগারের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

বন্ধুরা বিশ্বাস করেন, কেবল পাঠ্যপুস্তকই নয়, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার মাধ্যমেই একজন ব্যক্তি প্রকৃত অর্থে জ্ঞানী ও সুশিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে। এই পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার এবং অব্যাহত রাখার জন্য গ্রন্থাগারের বিকল্প নেই।

মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা