সচেতনতাতেই মুক্তি, সবার হোক এক যুক্তি

ডেঙ্গু সচেতনতায় নোয়াখালী বন্ধুসভার আলোচনা সভা
ছবি: সংগৃহীত

বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। উদ্বেগ জাগছে সারা দেশে। ৬৪টি জেলার মধ্যে অন্যতম একটি জেলা নোয়াখালীতেও এর প্রভাব স্পষ্টভাবে লক্ষণীয়। সে জন্য বন্ধুদের সতর্ক ও সচেতন করা এবং আশপাশের সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১২ আগস্ট রাত ৯টায় অনলাইনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে নোয়াখালী বন্ধুসভা।

আলোচনার স্লোগান ছিল ‘ডেঙ্গু থেকে সাবধান হই/সচেতনতাতেই মুক্তি, সবার হোক এক যুক্তি’। সব বন্ধু আলোচনায় অংশ নেন। সঞ্চালনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক তাজকির হোসেন। শুরুতেই বাংলাদেশে ডেঙ্গুর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হয়। কিছু অনলাইন নিউজ ও মিডিয়ার সমীক্ষা উপস্থাপন করা হয়। ডেঙ্গুর উপসর্গ ও ছড়ানোর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আফরিনা আনিকা বলেন, ‘আমাদের এসব উপসর্গ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে রোগের প্রকটতা কিংবা অবস্থান সাপেক্ষে সঠিক চিকিৎসা নেওয়া যায়।’ এরপর ডেঙ্গু শনাক্তকরণ নিয়ে কথা বলেন দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক মো. শিমুল। তিনি সবার উদ্দেশে নোয়াখালীতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ডেঙ্গু পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনার একপর্যায়ে সবাই মিলে প্রথম আলোর ডেঙ্গুবিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখেন। উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি সুমন নুর সবাইকে সচেতন থাকতে বলেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জ্যানিসা আফরোজ ডেঙ্গুর প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনার শেষ দিকে সাধারণ সম্পাদক আসিফ আহমেদ সামাজিক সংগঠন হিসেবে নোয়াখালী বন্ধুসভা কীভাবে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে, সে ব্যাপারে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুর মতো রোগে বিচলিত না হয়ে, হতে হবে সচেতন। নিজেরা সচেতন থেকে অন্যদেরকে সতর্ক করতে হবে। প্রচার, প্রসারের মধ্য দিয়ে গড়তে হবে প্রতিরোধ।’ এ ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে নোয়াখালী বন্ধুসভা থেকে শহরের কিছু জায়গায় অভিযান চালানোর কথা বলেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন রাতুল, অর্থ সম্পাদক উম্মে ফারহিন, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক প্রণয় মজুমদার, কার্যনির্বাহী সদস্য ধ্রুব ভুঁইঞা, বন্ধু নদী, ইতু, শিহাব, তামজিদসহ আরও অনেকে।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা