এখনো স্পষ্ট মনে আছে লেখালেখির শুরু ২০০৪ সালে। বাবা একটি ডায়েরি উপহার দিয়ে বললেন, ইচ্ছেমতো লিখতে। এক সকালে বাবার সঙ্গে মেঘনা ব্রিজ ঘুরে এসে ডায়েরি লিখলাম, ছন্দ বানিয়ে কবিতা, ভালো লাগার ঘটনাগুলো লিখতাম। ২০১৩ সালে গল্প লেখা শুরু করি। বিভিন্ন ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হলে প্রতিটি গল্প পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে। সাহিত্যের প্রতিও রয়েছে ভীষণ অনুরাগ। আমার অনুসন্ধিৎসু মন প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখতে চায়।
ভৈরব বন্ধুসভায় যুক্ত হওয়ার পর থেকে বই পড়ার আসর পাঠচক্র ভালো লাগতে থাকে। প্রতিটি পাঠচক্রে ছিলাম মনোযোগী শ্রোতা। উপদেষ্টা সুমন ভাই সবাইকে লেখার জন্য তাগিদ দিতেন। এখানে যুক্ত হয়ে লেখালেখি আরও বিস্তৃত হয়। বন্ধুসভার ওয়েবসাইটের জন্য লিখি ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রথম লেখা ছিল কবিতা। বন্ধুসভা লেখালেখির পথ সুগম করে দিচ্ছে।
ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুদের গল্প শোনার আয়োজন বন্ধু কথন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে কথাগুলো বলেন বন্ধু নাহিদ হোসাইন। ১৭ জুলাই প্রথম আলো ভৈরব অফিসে অনুষ্ঠিত হয় এ আয়োজনের ২২তম পর্ব। কার্যনির্বাহী সদস্য প্রিয়াংকার সঞ্চালনায় আরও যুক্ত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল রাজ।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রিয়াংকা বলেন, এবারের পর্বটি বিশেষ। কারণ, আমরা আজ বসেছি দুজন লেখক বন্ধুকে নিয়ে। যারা ১১ জুলাই অনুষ্ঠিত লেখক বন্ধু উৎসবে সেরা লেখকের পুরস্কার পেয়েছে। যা ভৈরব বন্ধুসভার জন্য সত্যিই গর্বের।
বন্ধু রাসেল রাজ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে সাহিত্যের প্রতি প্রবল আগ্রহ। গল্প-কবিতা লিখে জমিয়ে রাখতাম, কখনো প্রকাশ করা হয়নি। নাহিদ ভাই লেখার জন্য তাগিদ দিলেন। একদিন পাঠিয়ে দিলাম। তারপর থেকে নিয়মিত বন্ধুসভার ওয়েবসাইটে লেখা প্রকাশিত হচ্ছে।’
সঞ্চালক প্রিয়াংকা বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন অন্যান্য আয়োজনে ভৈরব বন্ধুসভা এগিয়ে, কিন্তু লেখালেখির বেলায় যেন একটু পিছিয়েই ছিল। কিন্তু এবার সেই পথ সুগম হলো। আমাদের বন্ধুরা নিয়মিত লিখুক। প্রয়োজনে আমরা কর্মশালার দিকেও মনোযোগী হব।’
শেষে নাহিদ হোসাইনের গানের মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠানটি ভৈরব বন্ধুসভার ফেসবুক পেজে লাইভ সম্প্রচারিত হয়। সহযোগিতা করেন সাধারণ সম্পাদক এরফান হোসেন।
সভাপতি, ভৈরব বন্ধুসভা