‘জামালপুর সদর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের জন্য অসীম গৌরবের। ১১ নম্বর সেক্টরের অধীন থাকায় এ অঞ্চলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। পিটিআই ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটিগুলোর একটি, যেখানে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত সেনারা অবস্থান করত। সাধারণ মানুষের যৌথ প্রতিরোধে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসররা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
জামালপুর বন্ধুসভার উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিশেষ আলোচনা সভায় কথাগুলো বলেন প্রথম আলো জামালপুর প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তরুণদের জীবনবোধ গঠন’ শিরোনামে গত ২৫ নভেম্বর প্রথম আলো জামালপুর অফিসে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বন্ধুসভা সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, ত্যাগ ও মানবিক চেতনা নিয়ে গভীর আলোচনা করেন। পাশাপাশি একাত্তরের সময় জামালপুরের রণাঙ্গনের বিভিন্ন ঘটনাও আলোচনায় উঠে আসে।
সভায় অতিথি হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মতি। কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় তিনি সরাসরি উপস্থিত হতে পারেননি। পরে মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে মো. মতি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ছিল ঐতিহাসিক দিন, সেদিন জামালপুর সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়েছিল। কমান্ডার মো. ফয়েজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল সেদিনই প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা জামালপুর শহরে উত্তোলন করেন। এটি ছিল আমাদের বিজয়ের এক গৌরবময় মুহূর্ত।’
জামালপুর বন্ধুসভার সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানো আজকের সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।’
বন্ধুসভা সদস্যরা একমত হন যে সমাজে মানবিকতা, দেশপ্রেম ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারাবাহিকভাবে চর্চা করতে হবে। সভায় ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কর্মসূচি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
সাধারণ সম্পাদক, জামালপুর বন্ধুসভা