বনফুলের ছোটগল্পে মানবমন ও নারীর বাস্তব প্রতিচ্ছবি

শাবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরছবি: শাফিনুর ইসলাম

বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্পের ঐতিহ্যময় পথ বেয়েই আবির্ভাব হয় বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের (১৮৯৯-১৯৭৯), বনফুল নামে যিনি পরিচিত। যাঁদের সাহিত্য সাধনায় বাংলা ছোটগল্প আজ বিশ্বসাহিত্যের দরবারে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, তিনি তাঁদের অন্যতম। তাঁর ছোটগল্পে মানবজীবনের বহু বিচিত্র রূপ পরিস্ফুটিত হয়েছে। কখনো মানবজীবনের উপরিভাগ, কখনো মানবমনের দুর্জ্ঞেয় রহস্য, কখনো মানবচরিত্রের অকস্মাৎ স্ববিরোধিতার প্রকাশ, আবার কখনো আত্মানুসন্ধান পরিলক্ষিত হয়েছে। বনফুল স্বল্প ভাষায় মানবজীবনের বাস্তবিক চিত্র অঙ্কন করেছেন। বনফুলের ভাষার সহজ ও সরলতার মতো গল্প বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয়টি ফুটে ওঠেনি।

১৩ অক্টোবর বনফুলের নির্বাচিত ছোটগল্প নিয়ে পাঠচক্র করেছে শাবিপ্রবি বন্ধুসভা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।

শাবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসর।

পাঠচক্রটি সঞ্চালনা করেন প্রচার সম্পাদক সাবিনা আক্তার। তিনি বনফুলের ‘নিমগাছ’ গল্পটি নিয়ে বলেন, ‘গল্পটিতে বনফুল রূপবৈচিত্র্য সৃষ্টি করেছেন। অল্প কথায় গল্পকার নারীসমাজের প্রতীক গ্রহকর্ম নিপুণা লক্ষ্মী বউটার মাধ্যমে নারীসমাজের দুর্দশা তুলে ধরেন।’

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক ইয়ারমিন আক্তার বনফুলের ‘পাঠকের মৃত্যু’ গল্পটি বিশ্লেষণ করে বলেন, ‘গল্পটি বনফুলের মানব মনস্তত্ত্বের অভিজ্ঞতাসঞ্জাত একটি চুম্বক আলেখ্য। গল্পটিতে সময়ের ব্যবধানে মানবমনের রুচির পরিবর্তন ঘটে। ১০ বছর আগে পাঠক যে বইটি পড়েছিলেন, দীর্ঘ সময়ের পর সেটি নেতিবাচকতায় পরিণত হয়েছে। পাঠকসমাজে মনস্তাত্ত্বিক দিকটি বনফুল এ গল্পে তুলে ধরেছেন।’

পাঠচক্রের আসরে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু শাফিনুর ইসলাম, মো. আলামিন, কাজী জান্নাতুল, নুর হাসনাত, সাবিনা আক্তার, ইয়ারমিন আক্তার, তৌহিদুল ইসলাম, দুর্জয় ও জনি জান্নাত।