শাবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠচক্রে ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি সেন্টার ভবনে শাবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরছবি: বন্ধুসভা

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ মূলত কৃষ্ণকান্ত নামক এক ব্যক্তির সম্পত্তির উইলকে কেন্দ্র করে রচিত সামাজিক উপন্যাস। প্রধান চরিত্র গোবিন্দলাল, ভ্রমর ও রোহিণীর ত্রিভুজাকৃতির ভালোবাসার সম্পর্ক উপন্যাসের মূল আকর্ষণ।

২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাস নিয়ে পাঠচক্রের আসর করে শাবিপ্রবি বন্ধুসভা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি সেন্টার ভবনের দ্বিতীয় তলায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বন্ধু মো. আলামিনের সঞ্চালনায় উপন্যাসের কাহিনি ও মূল বার্তা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন বন্ধু জোনাকি আক্তার। তিনি বলেন, কৃষ্ণকান্ত গোবিন্দলালকে সম্পত্তির বেশির ভাগ অংশ দেওয়ায় তার ছেলে হরলাল তা মানতে পারেনি। না পেরে সুন্দরী বিধবা রোহিণীকে বিয়ে করার লোভ দেখিয়ে উইল চুরি করায়। কিন্তু পরে বিয়ে করবে না বললে রোহিণী সেই উইল ফেরত দিতে গিয়ে ধরা পড়ে। সেখান থেকে গোবিন্দলাল তাকে বাঁচায় এবং গোবিন্দলালের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও রোহিণীর সৌন্দর্যের মোহে পড়ে পালিয়ে যায় দূরদেশে। একপর্যায়ে রোহিণীর চরিত্রহীনতার ফলস্বরূপ গোবিন্দলালের হাতেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তী সময় নিজ স্ত্রী ভ্রমরের কাছে গেলে সেখানে অসুস্থতার কারণে সে–ও মারা যায় এবং গোবিন্দলাল সন্ন্যাস–জীবন গ্রহণ করে দেশান্তর হয়ে যায়।

পাঠচক্রের আসরে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু শাফিনুর ইসলাম, মো. আলামিন, নোশিন ইরা, মৃদুল রাজবংশী, জনি জান্নাত ও মোস্তাকিম বিল্লাহ।