‘ক্যারিয়ার উন্নত করতে হলে চ্যালেঞ্জ নিতে জানতে হবে’

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার উদ্যোগে ক্যারিয়ার–বিষয়ক কর্মশালা শেষে অতিথি ও আলোচকেরাছবি: বন্ধুসভা

মাত্র ৬০০ টাকা দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে পথচলা শুরু করেছিলেন ফাহমিদা কবির নীলা। বর্তমানে নিজের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাঁর এই পথচলা শুরুতে এত মসৃণ ছিল না। নারী হিসেবে তাঁকে পদে পদে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আবার চলার পথে অনেককে পাশেও পেয়েছেন। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার উদ্যোগে ক্যারিয়ার–বিষয়ক কর্মশালায় এসে ফাহমিদা কবির নীলা বলেন, ‘সব সময় চাইতাম নিজে কিছু করতে ও স্বাবলম্বী হতে। হার না মেনে সব প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে আজ আমি একটা পর্যায়ে আসতে পেরেছি।’

২৩ নভেম্বর ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় এ কর্মশালা। আলোচক হিসেবে আরও ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী বিচারক রাগীব মোস্তফা নাঈম, ঢাকার শ্রীলঙ্কান দূতাবাসের প্রটোকল কর্মকর্তা সেলিম মোহাম্মদ রওশন ও নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১–এর সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন। তাঁরা চারজনই ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

১৬তম বিজেএস পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করা রাগীব মোস্তফা নাঈম বলেন, ‘যখন যে কাজই করবে, সেটা পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জুডিশিয়ারির প্রস্তুতি যখন শুরু করেছিলাম, তখন আমার অবস্থা ছিল একদম শূন্যের কোঠায়। একদিন একজন আমাকে পেনাল কোড থেকে ১০টা প্রশ্ন করেছিলেন। ৯টার উত্তরই সেদিন দিতে পারিনি। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে দ্বিতীয় হতে পেরেছি। তাই বলব, প্রস্তুতির শুরুতে মনে হতে পারে, আমি হয়তো কিছু পারছি না বা সবকিছু শূন্যের কোঠায়। মানসিক চাপ নেওয়া যাবে না। একদম নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।’

মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও কিছু জ্ঞান বাস্তবিক হয়ে থাকে, যেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় বা বই থেকে সব সময় শেখা যায় না। বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ক্যারিয়ার উন্নত করতে হলে চ্যালেঞ্জ নিতে জানতে হবে।

‘অন্যকে দোষ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে; পাশাপাশি আমাদের ভালো শ্রোতা হতে হবে।’
সেলিম মোহাম্মদ রওশন

সেলিম মোহাম্মদ রওশন বলেন, ‘জীবনকে সব সময় উপভোগ করতে হবে। কমিউনিটি তৈরি করতে হবে। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে, যা ক্যারিয়ারে অনেক কাজে লাগবে। দুনিয়ার সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যকে দোষারোপ করা। অন্যকে দোষ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে; পাশাপাশি আমাদের ভালো শ্রোতা হতে হবে।’

কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার মো. শামসুল হুদা, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজলা ফাতেমি, আইন বিভাগের প্রভাষক ওমর ফারুক ও ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার কো–অর্ডিনেটর এহসান উল্লাহ খান।

বক্তব্য শেষে অতিথিরা আলোচকদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। এর আগে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার সভাপতি তারেক রহমান। সবশেষে বন্ধুসভার বন্ধুদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।

সভাপতি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা