গ্রীষ্মকালীন ফলকে ঘিরে বন্ধুদের আড্ডা

আমের ভর্তার উৎসব করেন জাককানইবি বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

বাংলার ছয়টি ঋতুর মধ্যে ফলের মাস বলা হয় গ্রীষ্মকালকে। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ—এই দুই মাসজুড়ে পাওয়া যায় নানা স্বাদের, নানা রঙের ফল। বছরজুড়ে নানা স্বাদের ফল পাওয়া গেলেও গ্রীষ্মকালীন ফলকে ঘিরে রয়েছে আলাদা স্বাদ, আনন্দ ও উৎসব। এসবের মধ্যে সবার আগে জিবে জল আনে যে ফল, তা হলো আম। হোক কাঁচা কিংবা পাকা—দুভাবেই যেন বাঙালিরা মুখরোচক ফল হিসেবে চেটেপুটে খেয়ে থাকেন।

প্রতিবছরের চেয়ে এবারের গ্রীষ্ম যেন তার সর্বোচ্চ উত্তাপ ছড়াতে ব্যস্ত। একদিকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে ক্যাম্পাসজুড়ে গাছে গাছে কাঁচা আম। দুটির সংমিশ্রণে ক্যাম্পাসে চলছিল আম কুড়ানো ও ভর্তার উৎসব। এ রকমই একটি আয়োজনে মেতে ওঠেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরা।

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে একদিন আড্ডায় সভাপতি সাকিবুল হাসান বলেন, ‘পরবর্তী আড্ডায় আমভর্তার আয়োজন করলে কেমন হয়?’ সঙ্গে সঙ্গেই সবার আগ্রহ ও উদ্দীপনার প্রকাশ পাওয়া গেল। ঠিক করা হলো পরবর্তী আড্ডাতেই এ আয়োজন করা হবে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বির মিয়ার নেতৃত্বে তারিখ, সময় নির্ধারিত হলো।

যথারীতি ৮ মে বিকেল চারটায় বন্ধুরা একত্র হোন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের কোণায় এক ছায়াযুক্ত গাছের নিচে। ভর্তা বানানোর উপকরণ জোগাড়ের দায়িত্ব দেওয়া হলো বন্ধু কর্ণজয় ও আকিবের ওপর। মেয়েদের দায়িত্ব ছিল আমের খোসা ছাড়ানো, কাটাকাটি ও মাখানো। ছুরি, কুচানোর জন্য গ্রেটার এনেছিলেন বন্ধু শ্রাবণী এবং আম ধুয়ে মাখানোর জন্য বাটি-প্লেটের ব্যবস্থা করেছেন বন্ধু সিদ্দিক। বন্ধু কর্ণজয়কে শুকনা মরিচ ভাজা নিয়ে বেশখানিকটা বেগ পোহাতে হয়েছিল। আমগুলো পরিষ্কার করে ধুতে সাহায্য করেন আকিব ও শ্রাবণী, আম কুচানোতে সাহায্য করেন বন্ধু অর্পিতা ও পুষ্পিতা, মাখানোর দায়িত্ব নেন বন্ধু আফরিন, রুবা এবং সবশেষে পরিবেশন করেন বন্ধু পিয়াল, প্রান্ত ও সাজ্জাদ।

সভাপতি সাকিবুল হাসান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্রিয়াশীল সংগঠন হিসেবে ভিন্নধর্মী আয়োজন করার চেষ্টা করি, যা আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততার একঘেয়েমিকে কিছুটা দূর করতে পারে।’

সাধারণ সম্পাদক সাব্বির মিয়া বলেন, বন্ধুসভার নিয়মিত কার্যক্রমকে আরও প্রাণবন্ত করার জন্য মাঝেমধ্যে এ রকম উদ্যোগ নেওয়ার প্রচেষ্টা থাকবে, যাতে সংগঠনে সবার অংশগ্রহণ আরও বাড়ে।

সহসভাপতি, জাককানইবি বন্ধুসভা