জামালপুর বন্ধুসভার ‘বন্ধু বাগান’
‘আমার মাটি আমার দায়, গাছ রোপণে বাঁচা যায়’ প্রতিপাদ্যে বৃক্ষরোপণ করেছে জামালপুর বন্ধুসভা। ১৬ আগস্ট জেলা সরকারি শিশু পরিবারে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
কয়েক বছর ধরেই একই স্থানে বৃক্ষরোপণ করে আসছে জামালপুর বন্ধুসভা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার স্থানটিকে ‘বন্ধু বাগান’ নাম দেওয়া হয়েছে। বাগানটিতে রয়েছে কাঁঠাল, মেহগনি, অসুর, জলপাই, তেঁতুল, আম, লেবু, কৃষ্ণচূড়া, সেগুন, বকুল, পেয়ারা, হরীতকী, বহেড়া, নিম, অর্জুন, বাসকসহ বিভিন্ন ধরনের বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছ।
গাছের চারা মাটিতে শক্ত হয়ে নিজের অবস্থান ধরে রাখা এবং পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত আবহাওয়া। সে সময়টা সাধারণত বর্ষাকাল; অর্থাৎ জুন-আগস্ট হচ্ছে গাছের চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। প্রকৃতি প্রদত্ত বৃষ্টির পানি, আর্দ্র আবহাওয়া, অনুকূল তাপমাত্রা—সব মিলিয়ে বর্ষা মৌসুমে গাছের চারাগুলো সুন্দরভাবে প্রকৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠে।
উপযুক্ত মৌসুমে গাছের চারা রোপণের পাশাপাশি পরিচর্যা অত্যন্ত জরুরি, তা না হলে গাছের চারা টিকিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জামালপুর বন্ধুসভার বন্ধুরা ‘বন্ধু বাগান’ গঠন করার উদ্যোগ নেন। রোপণ করা গাছগুলোর পরিচর্যা ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিশু পরিবারের শিক্ষার্থীদের। পরিচর্যা বাবদ যত অর্থ ব্যয় হবে, তা জামালপুর বন্ধুসভা বহন করবে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ, বন্ধুসভার উপদেষ্টা মহসিন কাকন, সাবেক সভাপতি মাসুদ সরকার, সভাপতি ডা. জাকারিয়া জাকি, সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল হাসান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান অপূর্ব, জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল নাঈম, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক আশরাফুন্নাহার স্নিগ্ধা, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক নাহিদুল হাসান, বইমেলা সম্পাদক তাসকিন মাহমুদ, বন্ধু বিজয় হাসান, সাজ্জাদ হোসেন, সাদিয়া জেরিন, সানজিদা শ্রাবন্তী, প্রত্যাশা পাল, মাওয়া খান, মতিন মিয়া, বায়োজিদ বোস্তামীসহ আরও অনেকে।
বন্ধু, জামালপুর বন্ধুসভা