‘অপেক্ষা’ শব্দটি একটি আকুলতা প্রকাশ করে। আর যদি স্বামীর জন্য স্ত্রীর অপেক্ষাকে প্রকাশ করতে হয়, সেটা যেন অন্য এক আবেগের বহিঃপ্রকাশ করে। ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত উপন্যাস ‘অপেক্ষা’য় সুরাইয়া নামের একটা মেয়ের তার স্বামীর পথ চেয়ে থাকাকে বোঝায়। উপন্যাসের আবেগটা যেন আরও প্রকাশিত হয় বন্ধুসভার বন্ধুদের চিন্তাভাবনায়।
২ জুলাই ‘অপেক্ষা’ উপন্যাসটি নিয়ে পাঠের আসর করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির বন্ধুসভা কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
বন্ধু অরুপা রহমান, উপন্যাসটি পাঠের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘উপন্যাসের নাম অপেক্ষা হলেও আমরা এখানে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা ও মমতার বহিঃপ্রকাশ দেখতে পেয়েছি। একজন মেয়ে তার স্বামীকে কতটা ভালোবাসলে তা তাকে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে সাহায্য করে। এখানে তার ভালোবাসা ক্ষমা, ত্যাগ এবং আশার প্রতীক। সে আশা করে যে একদিন তার স্বামী ঠিকই ফিরে আসবে। যদিও সে আসবে কি না, তা জানা নেই তার।’
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আছিয়া শান্তা, গল্পের মূল চরিত্র মানসিক শক্তির কথা তুলে ধরে বলেন, ‘উপন্যাসটি সুরাইয়ার অনন্য মানসিক শক্তির কথা তুলে ধরে। সুরাইয়া তার স্বামীর জন্য অপেক্ষা করার সময় অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে যায়। পুরো পরিবার এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পতিত হয়। কিন্তু সে তার বিশ্বাস হারায় না এবং শেষ পর্যন্ত আশা টিকিয়ে রাখে। এখানে তার মানসিক শক্তি সাহস, দৃঢ়তা ও আশার প্রতীক।’
বৃষ্টিস্নাত দিন উপলক্ষে পাঠচক্র শেষে আয়োজন করা হয় মুড়িমাখানো পর্বের। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতি সুমাইয়া জামান, সাধারণ সম্পাদক অনুপ সরকার, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক মৃদুল পাল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সঞ্চয়িতা জুসান, বন্ধু অরিত্র গুহ, কার্যকরী সদস্য নাফিসা চৌধুরী, নওরীন খানসহ অন্য বন্ধুরা।
স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা