উপন্যাসই হুমায়ূন আহমেদকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে

ড্যাফোডিল বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাধীনতা–পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত সেরা ঔপন্যাসিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় হুমায়ূন আহমেদকে। সাহিত্যের সব জায়গায় লেখক নিজের উপস্থিতি জানান দিলেও উপন্যাসই তাঁকে পাঠকের কাছে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তাঁর গল্পে যেমন ছিল উদাসীনতা, তেমনি ছিল বাস্তব জীবনের গভীরতা। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম লেখা উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার’ হলেও প্রথম প্রকাশিত হয়েছে ‘নন্দিত নরকে’।

১০ জানুয়ারি বইটি নিয়ে বছরের প্রথম পাঠচক্রের আসর করেছে ড্যাফোডিল বন্ধুসভা। অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন কার্যনির্বাহী সদস্য ফারজানা বিথী।

‘নন্দিত নরকে’ উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র রাবেয়া। তাকে ঘিরেই কাহিনি এগিয়ে গেছে। আমাদের চিন্তাচেতনার বাইরেও মেয়েরা যে কতটা অনিরাপদ, সেটাই রাবেয়ার ছোট্ট জীবনের অনাকাঙ্খিত সময়ের মাধ্যমে লেখক বুঝিয়ে দিয়েছেন। সব দিক বিবেচনায় বলা যায় ‘নন্দিত নরকে’ হুমায়ূন আহমেদের অনবদ্য সৃষ্টি।

পাঠচক্র ও বন্ধু আড্ডা শুরু হয় পরিচয় পর্ব দিয়ে এবং শেষ হয়েছে গান পরিবেশনা ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে। বইটি নিয়ে আলোচনা করেন কার্যনির্বাহী সদস্য সালমান ফারসী ও সাধারণ সম্পাদক সাবিরা সুলতানা।

পাঠচক্র শেষে সভাপতি সাব্বির আহমদের পরিচালনায় বইটির ওপর কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিজয়ী হয়েছেন আনিকা মিম ও ফারজানা বিথী। তাঁদের পুরস্কৃত করা হয়। সাব্বির আহমদ বলেন, জ্ঞানের বিকাশে বই পড়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ ছাড়াও ড্যাফোডিল বন্ধুসভা এ বছর অন্তত ৪০টি পাঠচক্রের আয়োজন করবে বলে জানান তিনি।

পাঠের আসরে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজউদ্দৌলা লাবু, নাজমুল হাসান, বিজান সরকার, বন্ধু মানসী সরকার, আফজাল হোসাইন, তমাল মালাকারসহ অন্য বন্ধুরা।

সাংগঠনিক সম্পাদক, ড্যাফোডিল বন্ধুসভা