গাছের সংখ্যা নয়, পরিচর্যা ও গুণগত মানে জোর

ভৈরব বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিছবি: বন্ধুসভা

বই পড়া, পাঠের আসর আয়োজন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং পরিবেশ রক্ষায় কাজ—এভাবেই এগিয়ে চলছে ভৈরব বন্ধুসভা। তরুণ প্রজন্মের এই ইতিবাচক উচ্ছ্বাস সমাজে ছড়িয়ে দিচ্ছে অনুপ্রেরণার বার্তা। ভৈরবের জব্বার জুট মিলসের উপব্যবস্থাপক ওয়াহেদুর রহমান বলেন, ‘আত্মোন্নয়ন, দেশ ও সমাজের কল্যাণে বন্ধুসভার বন্ধুরা আরও এগিয়ে যাবে, এটাই প্রত্যাশা।’

২ সেপ্টেম্বর, ভৈরব বন্ধুসভা আয়োজন করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। প্রতিপাদ্য ছিল ‘আর নয় প্লাস্টিক দূষণ, জীবন বাঁচাতে বৃক্ষরোপণ’। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভৈরবের ঘোড়াকান্দায় অবস্থিত জব্বার জুট মিলসের বিভিন্ন এলাকায় ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করা হয়।

জব্বার জুট মিলস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চাহিদা অনুযায়ী ফলদ গাছ রোপণ করে ফলের বাগান তৈরির উদ্যোগে সহায়তা করা হয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও শিক্ষার্থীদের মনে সবুজ প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা জাগাতেই এই আয়োজন।

ভৈরব বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জব্বার জুট মিলসের উপব্যবস্থাপক ওয়াহেদুর রহমান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা পান্না ও অন্য শিক্ষকেরা। শুরুতেই শিক্ষার্থীদের সমাবেশে বন্ধুসভার উপদেষ্টা আলাল উদ্দিন বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা ও চারাগাছের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা পান্না বলেন, ‘ভৈরব বন্ধুসভার এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। ভৈরবের তরুণেরা এভাবেই ভালো চিন্তায় এগিয়ে যাক।’

দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে আরও অংশ নেন ভৈরব বন্ধুসভার উপদেষ্টা জনি আলম, সভাপতি জান্নাতুল মিশু, সহসভাপতি আফিসা আলী, সাধারণ সম্পাদক এরফান হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য ইকরাম বখশ্, মানিক আহমেদ, বন্ধু রিফাত হোসেন, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক প্রাপ্তি গোপসহ অন্য বন্ধুরা।

উপদেষ্টা জনি আলম বলেন, ‘গাছ রোপণেই সীমাবদ্ধ থাকাটাই মুখ্য নয়। মুখ্য হলো গুণগত মানের গাছ লাগানো এবং যথাযথ পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা।’

কার্যনির্বাহী সদস্য, ভৈরব বন্ধুসভা