আমরা মৃত মানুষের অভাব বুঝি; কিন্তু জীবিত মানুষের আর্তনাদ বুঝি না।
একজন পঁয়ষট্টি–ঊর্ধ্ব বয়সী দাদুর দোকান সাজিয়ে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল। বয়সের ভারে তাঁর হাত কাঁপছিল, তবু তিনি এই বয়সে রাস্তার পাশে দোকান নিয়ে বসেছেন। ওনার নাম ফয়সাল আহমেদ নান্না। তিনি বগুড়া শহরের গোহাইল রোডে মিশন গির্জার ঠিক আগের যে রাস্তা আছে, সেখানে বসেন।
দাদুর দোকানে তেমন কোনো সামগ্রী ছিল না। তাই আমরা পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার বন্ধুরা মিলে দোকানটিতে পণ্যসামগ্রী কিনে দিয়েছি। পণ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চা রাখার জন্য ফ্লাস্ক, চায়ের কাপ, টি-ব্যাগ, চিনি, আদা, বিস্কুট, চানাচুর, ডালভাজা, কেক, পাউরুটি, কলা ইত্যাদি। প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি ভালো কাজের অংশ হিসেবে আমাদের এ উদ্যোগ।
স্বল্প আয়ের ফয়সাল আহমেদ নান্নার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, সামর্থ্য না থাকায় তিনি চা বিক্রি করতে পারছেন না। মূলধনের অভাব ছিল। তারপরই আমাদের উদ্যোগ নেওয়া। যখন আমরা দাদুর দোকান সাজাচ্ছিলাম, ওনার মুখে আনন্দ ও চোখে কৃতজ্ঞতা ভেসে উঠছিল। বারবার বন্ধুদের জন্য দোয়া করছিলেন।
উদ্যোগ বাস্তবায়নে ছিলেন সভাপতি ফারহানা সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য অভিষেক সরকার, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক তুষার সরকারসহ অন্য বন্ধুরা।
সভাপতি, পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা