ময়মনসিংহ বন্ধুসভার পাঠচক্রে ‘১৯৭১’
নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘১৯৭১’ নিয়ে পাঠচক্র করেছে ময়মনসিংহ বন্ধুসভা। ১২ এপ্রিল প্রথম আলো ময়মনসিংহ অফিসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পরিচয় পর্বের পর উপন্যাসের কাহিনি সংক্ষেপে আলোচনা করেন সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, ‘ছোট্ট একটা গ্রাম নীলগঞ্জ। নীলগঞ্জের জলাভূমির দিকটায় একদল কৈবর্ত থাকে। গ্রামের সঙ্গে তাদের খুব একটা যোগাযোগ নেই। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস “১৯৭১”–এর ঘটনা এই নীলগঞ্জের। ’৭১–এ মিলিটারিরা এই গ্রামে আসে। উপন্যাসে কোনো যুদ্ধের ঘটনা নেই। কিন্তু গল্পটি আমাদের শেষ পর্যন্ত এমন এক জায়গায় নিয়ে যায়, যেখানে চাইলেও যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়া যায় না।’
মেহেদী হাসান বলেন, উপন্যাসে সামগ্রিকভাবে হুমায়ূন আহমেদ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বাঙালির আত্মসমালোচনা বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তুলে ধরেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি ও পাকিস্তানি সৈন্যদের নৃশংসতা উঠে এসেছে।
সভাপতি খালিদ হাসান বলেন, উপন্যাসে হুমায়ূন আহমেদ পয়লা মে তারিখের কথা উল্লেখ করেছেন। একটি মাত্র দিনকে জুড়ে সমগ্র উপন্যাসটির পটভূমি অপূর্বভাবে বর্ণনা করেছেন। নীলগঞ্জ নামের হতদরিদ্র একটি গ্রামে একাত্তরের একদিন হঠাৎ পাকিস্তানি সৈন্যরা উপস্থিত হয়। সঙ্গে থাকে রকিফ নামের গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র। মূলত রফিক চরিত্রের মধ্যেই ১৯৭১ অন্তর্নিহিত আছে। রফিক-ই মুক্তিযুদ্ধ।
বইটি নিয়ে আরও আলোচনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উম্মে সালমা ও কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাপ রানী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক রাবিয়াতুল বুশরা, ম্যাগাজিন সম্পাদক মুনমুন আহমেদসহ অন্য বন্ধুরা।
সভাপতি, ময়মনসিংহ বন্ধুসভা