সেরা লেখার পুরস্কার পেলেন ফরিদপুর বন্ধুসভার বন্ধু সজীব দত্ত

সজীব দত্তের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক প্রবীর কান্তি বালাছবি: বন্ধুসভা

ফরিদপুরের স্থানীয় একটি পত্রিকায় গত ২৬ মার্চ বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। ওই সংখ্যায় লেখা প্রকাশিত হয় ফরিদপুর বন্ধুসভার আট বন্ধুর। সেখান থেকে বন্ধুদের ভোটে সেরা নির্বাচিত হয় সজীব দত্তের ‘প্রথম অনুভূতি থেকে ২৬শে মার্চ’ শিরোনামের লেখা। সেরা লেখার জন্য তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ৯ জুন সজীব দত্তের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক প্রবীর কান্তি বালা।

গত ২৬ মার্চ প্রকাশিত ওই বিশেষ সংখ্যায় সজীব দত্ত ছাড়াও ফরিদপুর বন্ধুসভার বন্ধু সোহাগ দত্তের ভ্রমণকাহিনি ‘বহুদূর পথ ভীষণ আঁকাবাঁকা’, লক্ষ্মণ চন্দ্র মণ্ডলের প্রেমের গল্প ‘যে প্রশ্নের উত্তর আজও জানা হলো না নিলয়ের’ মিঠুন দাসের গল্প ‘অপূর্ণ ভালোবাসা’, মানিক কুন্ডুর কবিতা ‘কৃষিতেই সমৃদ্ধি’, সুব্রত পালের ‘প্রেমের ভাষা’, শুভ বিশ্বাসের ‘স্বার্থের এ পৃথিবীতে’, জহির হোসেনের ‘তুমি কি আমায় ভালোবাসতে পারো’ শিরোনামে লেখা প্রকাশিত হয়।

পুরস্কার পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সজীব দত্ত বলেন, ‘লেখালেখিতে এটা আমার প্রথম পুরস্কার। পুরস্কারটি আমার ছবি-সংবলিত হওয়ায় এটি সংগ্রহ করে রাখার ইচ্ছা রয়েছে। যেন পরবর্তী প্রজন্মকে দেখিয়ে বলতে পারি, লেখালেখিতে এটা আমার প্রথম পুরস্কার ছিল।’
সজীব দত্ত বলেন, ‘শিল্প-সাহিত্যের বিকাশ, ভেতরের প্রতিভা ফুটিয়ে তোলা এবং নতুন কিছু জানাবোঝার জন্য বন্ধুসভা একটা ভরসার ঠিকানা।’

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক প্রবীর কান্তি বালা বলেন, ‘বন্ধুসভার বন্ধুদের কাঁচা হাতের লেখা। তবে ভালো লেগেছে যে ওদের মধ্যে লেখার উদ্যোমটা আছে। যে যার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছে। সৃজনশীল কাজে লেগে থাকার ব্যাপার থাকে। সাহিত্যচর্চা অব্যাহত রাখতে হয়। স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার এ যুগে নতুন প্রজন্মকে বই পড়া, শিল্প-সাহিত্যমুখী করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। তবে চেষ্টা করলে যেকোনো অসাধ্য সাধন করা সম্ভব।’

পুরস্কার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর বন্ধুসভার বন্ধু মানিক কুন্ডু, জহির হোসেন, লক্ষ্মণ চন্দ্র মণ্ডল, সুব্রত পাল, মিঠুন দাস, শুভ বিশ্বাস ও সজীব দত্ত।

সাধারণ সম্পাদক, ফরিদপুর বন্ধুসভা