চট্টগ্রামের দেয়ালে প্রথম আলোর গ্রাফিতি

প্রথম আলোর গ্রাফিতিটি অঙ্কন করেছেন সাফওয়ান করিম ও সাদিয়া চৌধুরীছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি ছিল—কোটা সংস্কার। সেই দাবিকে উপেক্ষা করে সরকার আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচার গুলি চালায়। শহীদ হন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিশু, পথচারী ও অসংখ্য সাধারণ মানুষ। তাঁদের বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয় রাস্তাঘাট ও পথপ্রান্তর। শহীদদের বাবা-মায়ের আহাজারিতে কম্পন সৃষ্টি হয় আকাশে-বাতাসে। সেই আহাজারির চিৎকার শুনতে পায়নি সরকার। এরপর রাষ্ট্রে বিদ্রোহ জেগে ওঠে। এক দফা দাবি নিয়ে জনতা রাজপথে নামে। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় সরকার।

চট্টগ্রামের দেয়ালে প্রথম আলোর গ্রাফিতি
ছবি: সংগৃহীত

৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশব্যাপী বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, সড়ক-মহাসড়ক এবং শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জের দেয়ালে দেয়ালে অঙ্কন করা হচ্ছে নানা ধরনের চিত্র ও গ্রাফিতি। গ্রাফিতিগুলো অঙ্কনের অন্যতম কারণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও মিডিয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবদান রেখেছে, তাদের সম্মান জানানো। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের হালিশহরের ভিউ পয়েন্টের একটি দেয়ালে অঙ্কন করা হয়েছে বাংলাদেশের গণমানুষের প্রিয় পত্রিকা দৈনিক প্রথম আলো। গ্রাফিতিটি অঙ্কন করেছেন সাদিয়া চৌধুরী ও সাফওয়ান করিম।

সাদিয়া চৌধুরী চট্টগ্রাম সরকারি কর্মাস কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং সাফওয়ান করিম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছেন। প্রথম আলোর গ্রাফিতি অঙ্কন করার বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, ‘প্রথম আলো স্বচ্ছ নির্ভরযোগ্য ও নিরপেক্ষ তথ্য প্রচার করে থাকে। তাই গ্রাফিতি অঙ্কনের বেছে নিই প্রথম আলোকে।’

কুতুবদিয়া, কক্সবাজার