উচ্ছ্বাস, আনন্দে বান্দরবানে কৃতী সংবর্ধনা

সাংস্কৃতিক পর্বে বান্দরবান বন্ধুসভার বন্ধুদের পরিবেশনাছবি: বন্ধুসভা

সূর্যের প্রখর চোখরাঙানি উপেক্ষা করে ২৬ জুন, সকাল ৯টার আগেই শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে বান্দরবান জেলা পরিষদ মিলনায়তন। উদ্দেশ্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ। যেন প্রাণের উচ্ছ্বাসে জীবনের জয়গান গাইছে সবাই।

‘স্বপ্ন দেখো জীবন গড়ো’ স্লোগানে এ উৎসবের আয়োজন করেছে প্রথম আলো। পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শিখো। উৎসবে অংশ নিয়েছে বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলার জিপিএ-৫ পাওয়া প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর বান্দরবান প্রতিনিধি বুদ্ধজ্যোতি চাকমা। ছিল নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন। এর ফাঁকে ফাঁকে চলে আলোচনা পর্ব।

সংবর্ধনা পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা
ছবি: বন্ধুসভা

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন বান্দরবান সরকারি কলেজের প্রভাষক মেহেদী হাসান, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইং সাইং উ নিনি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব চথুইপ্রু মারমা, কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল হক, বান্দরবান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদুল আলম হোসাইনী, বান্দরবান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আবছার এবং প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুল কুদ্দুস রানা। সঞ্চালনা করেন বান্দরবান বন্ধুসভার বন্ধু বীর বিক্রম ত্রিপুরা।

সংবর্ধনা পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরাও। অনুষ্ঠানে নয়জন বান্ধবীসহ অংশ নেয় পূর্ণতা প্রাচী। সে বলে, ‘এই আয়োজন আমার জন্য খুবই স্মরণীয়। নিজেদের চেষ্টায় জিপিএ-৫ পাওয়ার পর আমাদের যে সংবর্ধিত করা হচ্ছে, এটি আনন্দের।’
আরেক শিক্ষার্থী সাথোয়াইউ মারমা বলে, ‘এ আয়োজনে গান শুনে বেশ ভালো লেগেছে। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করলাম।’

সভাপতি, বান্দরবান বন্ধুসভা