প্রথম আলো বঞ্চিত মানুষের কথা বলে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে

মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাছবি: বন্ধুসভা

প্রকাশের শুরু থেকেই গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রশ্নে সাহসী ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে এসেছে প্রথম আলো। জুলাই গণ অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রশ্নে অতীতের চেয়ে প্রথম আলো আরও সাহসী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।

মাগুরায় প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এ প্রত্যাশার কথা জানান সুধীজনেরা। ৮ নভেম্বরে বিকেলে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় সুধী সমাবেশ। এরপর জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মাগুরা বন্ধুসভার বন্ধুদের দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি পরিবেশনের ফাঁকে ফাঁকে চলে সুধীজনের বক্তৃতা। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর মাগুরা প্রতিনিধি কাজী আশিক রহমান।

মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী বলেন, ‘১৯৯৮ সালে প্রকাশের প্রথম দিন প্রথম আলো পড়েই আগ্রহ তৈরি হয়। এর পর থেকে নিয়মিতভাবেই প্রথম আলো পড়ি। বাসার অন্যদেরও পড়তে অনুপ্রাণিত করি। প্রথম আলো বঞ্চিত মানুষের কথা বলে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে। আশা করি, সামনেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।’

শ্রীপুর উপজেলার হাট দ্বারিয়াপুর সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমাম হোসেন বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা থেকে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসেও সেই গণতন্ত্রের জন্য জুলাই-আগস্টে হাজারো মানুষ শহীদ ও হতাহত হয়েছেন। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রশ্নে প্রথম আলো ক্ষমতার বিরুদ্ধে গিয়ে সত্য প্রকাশ করেছে। সামনে প্রথম আলোকে আরও সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। যেন আবারও বাংলাদেশে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা না পায়।’

মাগুরায় প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান
ছবি: বন্ধুসভা

অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টে মাগুরায় নিহত শহীদদের স্মরণ করেন বক্তারা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী টিপু সুলতান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় মাগুরায় প্রথম আলো অনেক সাহসী ভূমিকা রেখেছে। আশা করি সামনে নিরপেক্ষ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তারা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, একটা সুন্দর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা থেকেই গত জুলাই-আগস্টে আমাদের অনেক ভাইবোন জীবন আত্মদান করে গেছেন।’

বন্ধুসভার বন্ধুদের সহযোগিতায় এ সুধী সমাবেশে জেলার ১০ শিক্ষককে সম্মাননা জানানো হয়। একই সঙ্গে বন্ধুসভার একটি ভালো কাজে সহযোগিতা করায় ছোনপুর যুব সংঘকে সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে সুরসপ্তক। সমাপনী বক্তব্য দেন বন্ধুসভার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম।