‘কমলাকান্তের ধারণা, মানুষমাত্রই পতঙ্গ’

জামালপুর বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরছবি: বন্ধুসভা

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে জামালপুর বন্ধুসভা। ১৬ মে বিকেলে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ চত্বরে এটি অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরে জামালপুর বন্ধুসভার অষ্টম পাঠচক্র এটি।

শুরুতেই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বর্ণিল সাহিত্যজীবন নিয়ে আলোচনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক কামরুল ইসলাম। পরে তিনি ‘কমলাকান্তের দপ্তর’–এর ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। তাঁর আলোচনা থেকে জানতে পারি, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রসাত্মক ও ব্যঙ্গধর্মী একটি প্রবন্ধ ‘কমলাকান্তের দপ্তর’। ব্রিটিশ সরকারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর পদে চাকরির কারণে সরাসরি ব্রিটিশবিরোধী কিছু বলতে পারেননি তিনি। কিন্তু ব্রিটিশদের শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে মনের অব্যক্ত কথা প্রকাশ করেছেন তাঁর রচনায়। বইটিতে নারীকে কমলাকান্ত নারকেলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর মতে, যৌবনে সব কিছু ভালো লাগে। কিন্তু বয়সের ভারে তা কমে আসে। শেষ বয়সে প্রফুল্লতা ও স্ফূর্তি কমে যায়।

পাঠচক্র শেষে জামালপুর বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

প্রবন্ধটির বিভিন্ন অংশ নিয়ে আলোচনায় আরও অংশ নেন বন্ধু সনেট মিয়া, সামিতা তাবাসসুম, লামিয়া আক্তার ও জান্নাতুল মাওয়া। সনেট মিয়ার আলোচনা থেকে জানতে পারি, ‘কমলাকান্তের ধারণা, মানুষমাত্রই পতঙ্গ। চাঁদকে সে নিজের সঙ্গে বাসর করতে অনুরোধ করে। এ ছাড়া কমলাকান্ত বলে, মানুষ সব বসন্তের কোকিল, সুসময়ে শুধু তার কু-ধ্বনি পাওয়া যায়। অসময়ে টিকিটাও খুঁজে পাওয়া যায় না।’

সামিতা তাবাসসুম বলেন, ‘কমলাকান্ত নারীকে শ্রেষ্ঠ বলেছেন; রূপে নয়, মহত্ত্বের গুণে। ‘বিড়াল গল্পে’ও সমাজের অসংগতি ধরা পড়েছে। কমলাকান্তের মতে, অনাহারে মরিয়া যাইবার জন্য কেউ পৃথিবীতে আসেনি। সে বুঝতে পারে, কুকুর হলো সব থেকে বড় পলিটিশিয়ান।’

পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা নাজমুল হাসান, বন্ধু সিফাত আব্দুল্লাহ, সভাপতি ডা. জাকারিয়া জাকি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. কানিজ ফাতেমা তায়েবা, প্রচার সম্পাদক তাহমিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক সানি সিরাজ, ম্যাগাজিন সম্পাদক সুমাইয়া আক্তার, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য জিনেদিন জিদান, বন্ধু পলি নাসির, রওশন বিপ্লবী, আবু বকর, আমির হামজা, ফাহিম মোনায়েম, আব্দুল মতিন, জান্নাতুল ফেরদৌস, শাওন সিরাজ, সাব্বির আহমেদ, বিজয় মিয়া, আমজাদ হোসেনসহ অন্য বন্ধুরা।

বন্ধু, জামালপুর বন্ধুসভা