মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রন্থাগারে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ‘জননী’। শ্যামা নামের এক গৃহবধূর জননী সত্তার বহুবিধ আত্মপ্রকাশ এই উপন্যাসের উপজীব্য। লেখক জননী চরিত্রটিকে স্বর্গীয় বা দৈবিক মহিমায় ভাস্বর করেননি; বরং এক জননীর কাহিনি বাস্তবতার আয়নায় তুলে ধরেছেন।
শ্যামা মূলত চিরচেনা শাশ্বত এক বাঙালি জননীর গল্প। যে তার সবটুকু নিংড়ে ভালোবাসে সন্তান আর পরিবারকে। এটিকে উপন্যাস বললে বরং ভুলই হবে, এ যেন প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে চিরন্তন ঘটে যাওয়া মানবজীবনের চক্রেরই সার্থক খণ্ডচিত্র।
২৬ এপ্রিল বিকেলে প্রথম আলোর সিলেট অফিসের বন্ধুসভা কক্ষে উপন্যাসটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর অনুষ্ঠিত হয়। পাঠচক্রে বইটির প্রকাশকাল, মূল বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধু ফয়সাল আহমেদ। তিনি বলেন, শ্যামার জীবনকাহিনি বিংশ শতাব্দীর সব ত্যাগী বাঙালি জননীর জীবনকাহিনির প্রতীক। ‘জননী’ বাংলার মায়েদের কিংবদন্তির কথা।
বন্ধু সূবর্ণা দেব বলেন, মানুষের জীবনসংগ্রাম বলতে আসলে কী বোঝায়, সেটা ‘জননী’ পড়লে খুব সহজে বোঝা যায়।
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর শ্যাম, সমীর বৈষ্ণব, দেব রায় সৌমেন, ফারহানা হক, গায়ত্রী বর্মন, আবদুল মোহায়মিন, সমরজিৎ হালদার, পিয়াস সরকার, জয় তালুকদার, মাজেদুল ইসলামসহ অন্য বন্ধুরা।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, সিলেট বন্ধুসভা