গাছে গাছে পেরেক ঠুকে আর গুনা (তার) দিয়ে লাগানো ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডসহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাদের শুভেচ্ছা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের অধিকাংশ সড়ক। গাছেরও যে প্রাণ আছে, তা মানুষ ভুলে যায়। এতে গাছগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। হারিয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিক সৌন্দর্য।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে ২৬ অক্টোবর উপজেলার শহীদ ক্যাপ্টেন মৃধা শামসুল হুদা সড়ক হয়ে কদমতলী মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার পাশের দুই শতাধিক গাছ থেকে ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলেছেন সৈয়দপুর বন্ধুসভার বন্ধুরা। পেরেকগুলোও তুলে ফেলা হয়। প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি ভালো কাজের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ।
গতকাল শনিবার সকালে সৈয়দপুর শহরের শহীদ সরণি মোড়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কামারপুকুর কলেজের অধ্যাপক অরুণ কুমার দাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্ধুসভার উপদেষ্টা ও নারী উদ্যোক্তা আহমেদা ইয়াসমিন, সংগীতশিল্পী হোসনে আরা লিপি, প্রথম আলোর সৈয়দপুর প্রতিনিধি এম আর আলম, বন্ধুসভার সহসভাপতি আহসান হাবিব প্রমুখ।
একটি ভালো কাজ কর্মসূচির সৈয়দপুর বন্ধুসভার আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘বিজ্ঞাপনদাতারা নিজেদের স্বার্থে গাছে পেরেক ঠুকেন। তাঁরা বুঝতে চান না গাছেরও জীবন আছে। পেরেক ঠুকলে গাছ কষ্ট পায়। এতে গাছটির মৃত্যুও হতে পারে। আমরা সব সময় মানবকল্যাণ নিয়ে ভাবি। অথচ যে গাছ আমাদের প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে, মানুষের জীবনধারণে অক্সিজেনের প্রধানতম উৎস, সেই গাছের কথা ভাবি না। তাই আমরা গাছে পেরেক না ঠুকতে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
পেরেক অপসারণ কাজে আরও অংশ নেন সৈয়দপুর বন্ধুসভার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়শা আফিয়া, বন্ধু মমতাজ পারভীন, আতাউ ফাতেমা, আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেকুন নাহার, সিহাব সাজিদসহ অন্য বন্ধুরা।
সহসভাপতি, সৈয়দপুর বন্ধুসভা