বঙ্গবন্ধু সত্য প্রকাশে আজন্ম আপসহীন ছিলেন

আলোচনা সভা শেষে বন্ধুদের একাংশ
ছবি: বন্ধুসভা

‘বঙ্গবন্ধুর রক্ত এখন আর শোক হিসেবে প্রকাশ হবে না। তাঁর রক্তশোকই তরুণ প্রজন্মের কাছে শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রেরণা হয়ে উঠবে’, বলছিলেন বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক জাফর সাদিক।

বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে যুবসমাজে সর্বজনীন করে রাখতে ১৫ আগস্ট রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের বন্ধুসভা কক্ষে ‘মুজিবের রক্তশোকই চিরন্তন চেতনা’ শিরোনামে আলোচনা সভা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বন্ধুসভার উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় বন্ধুরা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন।

বিকেল পাঁচটায় শুরু হওয়া এ সভায় জাতীয় পর্ষদ ও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন বন্ধুসভার বন্ধুরা অংশ নেন। জাতীয় পর্ষদের সভাপতি উত্তম রায় বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটি স্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু দল–মতনির্বিশেষে সবাইকে বিশ্বাস করতেন। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সংগঠনের কার্যক্রম আরও বেগবান করতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু সত্য প্রকাশে আজন্ম আপসহীন ছিলেন জানিয়ে ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার বন্ধু আশফাকুজ্জামান বলেন, ‘দেশভাগের পর পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের অত্যাচার-নির্যাতনে বঙ্গবন্ধু সবাইকে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করেন।’ বঙ্গবন্ধু একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হয়েও থাকতেন নিজের বাড়িতে। তাঁর জীবন এমনই সাধারণ ছিল। এমনটাই জানা গেল জাতীয় পর্ষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী আনিসের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সাধারণ জনগণের সান্নিধ্যে থাকার জন্য সরকারি বাসভবনে না থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে থাকতেন। পরিবারের সদস্যদের মতোই সবার সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারতেন।’

বঙ্গবন্ধু নিয়ে কথা বলছেন আশফাকুজ্জামান
ছবি: বন্ধুসভা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোনো নির্দিষ্ট দলের ছিলেন না। তিনি ছিলেন এ দেশের সবার। ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক সাইমুম মৌসুমী বৃষ্টি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ধর্ম-বর্ণ চিন্তা না করে সাংস্কৃতিক ঐক্য দ্বারা সবাইকে এক করতে পেরেছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বজনীন করতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’

উন্মুক্ত আলোচনায় জাতির পিতা তাঁর শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলোতে কেমন ছিলেন, তা তুলে ধরা হয়। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দুটি বন্ধুসভার বন্ধুদের অবশ্য পাঠ্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন সভাপতি উত্তম রায়।