একাত্তরের ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাতে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় শহীদদের স্মরণে ও তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় মোমবাতি প্রজ্বালন ও আলোর মিছিল করেছে ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা। মঙ্গলবার গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের মুক্তিযোদ্ধার নামফলক স্তম্ভে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উদীচী ঠাকুরগাঁও সংসদের সভাপতি সেতেরা বেগম। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা ছিল পরিকল্পিত। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের কনভেনশনে গণহত্যার যে সংজ্ঞা দিয়েছে, সেই দিক থেকে এ হত্যাকাণ্ড ছিল গণহত্যা। গণহত্যার স্বীকৃতি চাই এ জন্য যে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আজকে গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে, গাজায় যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, মিয়ানমারে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, এ ধরনের গণহত্যা যারা করছে, তারা তখন সাবধান হয়ে যাবে। যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে, তারা উপলব্ধি করতে পারবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। সে জন্য আমাদের দেশে যে গণহত্যা হয়েছে, তার স্বীকৃতি চাই।’
প্রথম আলোর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি মজিবর রহমান খান বলেন, ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি আমরা সবাই চাই ও দাবি করি। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের দাবিটি আরও জোরালো হবে, সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি নিশ্চিত হবে।’
ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘১৯৭১-এর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানিরা এ দেশের সাধারণ মানুষদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। সেদিনের এ ঘটনার পরেই সাধারণ মানুষেরা আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছে, যুদ্ধ ছাড়া এ দেশের মানুষের মুক্তি নেই। এদিনকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক এম মারুফ হাসান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক সিয়ামুর রশিদ, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মিথিলা আক্তার, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পাদক তপু রায়, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, বন্ধু ফাহিমা নুশরাত, সুলতানুল আরেফিন, এন্তাজ আলীসহ অন্য বন্ধুরা।
সাধারণ সম্পাদক, ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা