কেশবপুর বন্ধুসভার উদ্যোগে স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি

সাপে কামড় দিলে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা গ্রহণ এবং ঝাড়ফুঁক না করার বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা করেছে যশোরের কেশবপুর বন্ধুসভাছবি: বন্ধুসভা

কেশবপুরের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে প্রায়ই সাপের কামড়ে মানুষ মারা যান। গত শুক্রবার শতবর্ষী সরস্বতী সাপের কামড়ে মারা যান। সাপে কামড়ানোর পর গ্রামের ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করানো হয়। কিছুক্ষণ পর তাঁর মৃত্যু হয়। একইভাবে পরের দিন আরও এক লোককে ওই গ্রামে সাপে কামড়ায়; তাঁকেও ঝাড়ফুঁক করানো হয়।

গ্রামবাসীকে সচেতন করতে সাপে কামড় দিলে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা গ্রহণ এবং ঝাড়ফুঁক না করার বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা করেছে যশোরের কেশবপুর বন্ধুসভা। প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি ভালো কাজের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ। ২৯ অক্টোবর এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সাপে কামড় দিলে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা গ্রহণ এবং ঝাড়ফুঁক না করার বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা করেছে যশোরের কেশবপুর বন্ধুসভা
ছবি: বন্ধুসভা

সভায় স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে বক্তব্য দেন কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘কাউকে সাপে কামড়ালে তাঁকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে হবে। সেখানে সাপের কামড়ের ইনজেকশন আছে, যা দিলে মানুষ সুস্থ হয়ে যাবে। কোনোভাবে কাউকে ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করানো যাবে না।’

ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীদের ঝাড়ফুঁক করানোর পর দেখা যায়, অনেক রোগীই মারা যান। পরে তাঁদের হাসপাতালে আনলে আর বাঁচানো যায় না।’ এ সময় তিনি জরায়ুমুখ ক্যানসার, ডেঙ্গুসহ অন্যান্য রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর কেশবপুর প্রতিনিধি দিলীপ মোদক, বন্ধুসভার উপদেষ্টা স্বপন মণ্ডল, স্কুলশিক্ষক মহিতোষ মণ্ডল, সভাপতি হোসাইন আহমেদ, বন্ধু ফুয়াদ হাসান, একরামুল হোসেন, আবদুল আলিম, প্রীতম বৈরাগী ও তৃষা দাস।