বসন্তের আগমনী গানে পিঠা উৎসব

জেলার বিডি হল প্রাঙ্গণে ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার পিঠা উৎসবছবি: বন্ধুসভা

পিঠা উৎসব, কুয়াশা উৎসব ও বসন্তবরণের আয়োজন করেছে ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা। ১০ ফেব্রুয়ারি জেলার বিডি হল প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়। বেলা দুইটায় শুরু হওয়া এ উৎসবে বন্ধুসভা, ভিবিডি ও ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ মোট ৮টি স্টল বসে। স্টলগুলোয় ছিল বিবিখানা পিঠা, নকশি পিঠা, দুধচিতই, সেমাই কলই, তেলপিঠা, নুনপুরি, গুড়গুড়িয়া, ভাপা পিঠাসহ বাহারি রকমের পিঠার পসরা।

স্টলগুলোর সাজসজ্জাকরণ, পিঠার পরিমাণ, পিঠার মান, পরিচ্ছন্নতা, উপস্থাপন ও পরিবেশন বিষয়ের ওপর বিবেচনা করে তিনটি স্টলকে সেরা ঘোষণা করা হয়। উৎসবে পিঠা ক্রয় ও দেখার জন্য হাজারো মানুষের সমাগম ছিল। দর্শনার্থী সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা বাসায় সাধারণত হাতে গোনা কয়েকটা পিঠা দেখতে পাই বা খেতে পারি। কিন্তু এখানে এসে এতগুলো পিঠা দেখে লোভ সামলাতে না পেরে অনেকগুলো পিঠা কিনলাম এবং খেলাম।’

আরেকজন দর্শনার্থী আইভি ইভা বলেন, ‘শহরে এতগুলো পিঠা দেখার সুযোগ পাই না। এই উৎসবে একসঙ্গে এতগুলো পিঠা দেখে গ্রামীণ ঐতিহ্য মনে পড়ে গেল।’

ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার পিঠার স্টল
ছবি: বন্ধুসভা

পরে পরিবেশন করা পিঠাগুলো ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের এতিম শিশুদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হয়। এর আগে শিশুরা প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করে এবং তাদের পছন্দের পিঠাগুলো মন ভরে খায়।

চতুর্থবারের মতো ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা এই আয়োজন করেছে। মূল উদ্দেশ্য, সমাজের পিছিয়ে পরা শিশুদের বাহারি রকমের পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং তাদের পিঠা খাওয়ানো। এবছরও ব্যতয় ঘটেনি।

উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জাহিন মিঠু, আর কে স্টেট উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষিক ফেরদৌস আরা বেগম, ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য আইনজীবী বাবুল হোসেন, বাঁশগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আরা রোজী, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি মজিবর রহমান খানসহ বন্ধুসভার বন্ধুরা।

পিঠা উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে বসন্তের আগমনী গানের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। গান, আবৃত্তি ও নৃত্যে বসন্তকে বরণ করে নেন বন্ধুরা। সর্বশেষে কুয়াশাকে উপভোগ করে হিম উৎসব পালন করা হয়।

বন্ধু, ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা