দিনটি ছিল ২৮ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার। ২০২৩ সালের শেষ কর্মসূচি গোয়ালন্দ বন্ধুসভার। বেলা ৩টা থেকে উপজেলার প্রপার হাইস্কুল মাঠে আসতে থাকেন ৬টি কলেজ ও ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবার উদ্দেশ্য প্রথম আলো বন্ধুসভার পাঠচক্র আয়োজনে যোগ দেওয়া। সময় বাড়ার সঙ্গে মাঠের এক পাশ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
গোয়ালন্দ বন্ধুসভার উদ্যোগে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পাঠচক্রের আসরের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত তরুণ সফল কৃষি উদ্যোক্তা এবং গোয়ালন্দ বন্ধুসভার দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন আহমেদকে সম্মাননা জানানো হয়। পাঠচক্র শেষে স্থানীয় দরিদ্র শিশুদের অংশগ্রহণে পিঠা-মাংস উৎসবের আয়োজন করা হয়।
শুরুতেই সহসভাপতি জীবন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক সফিক মন্ডল সবাইকে নিজ নিজ আসন গ্রহণের অনুরোধ জানান। উপস্থিত হন গোয়ালন্দ বন্ধুসভার সভাপতি মুহাম্মদ লুৎফর রহমান। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পাঠচক্রে ‘জাতির পিতা তাঁর সারাজীবন’ বইটির মূল বিষয় উপস্থাপন করেন জীবন চক্রবর্তী।
উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি এম রাশেদুল হক, গোয়ালন্দ রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের শেখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি গোয়ালন্দ উপজেলার সভাপতি মুহাম্মদ বাবর আলী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসরিন আক্তার, বন্ধু মাহাফুজুর রহমান, তেনাপচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুঞ্জুয়ারা কাদরী, সাহাজদ্দিন মাতুব্বর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে এম বেলায়েত হোসেন, দুদুখান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মতিয়ার রহমান, স্কুলশিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন, বন্ধুসভার সহসভাপতি জাকির হোসেন, শামসুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইনুল হক, ইমদাদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজা বিশ্বাস, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক হৃদয় সূত্রধর, দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন আহমেদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মাহিমুজ্জামান, বন্ধু কলিন্স পার্থ, জাকির হোসেন, মেহেদী হাসান, আফজাল হোসেন প্রমুখ।
পাঠচক্র শেষে কবিতা আবৃত্তি করেন সহসভাপতি জীবন চক্রবর্তী, বন্ধু সাবাহ সম্প্রীতি, প্রেমা আক্তার, জান্নাতুল মাওয়া, সঞ্জিব রায়। সংগীত পরিবেশন করেন বন্ধু নাসরিন আক্তার, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক হৃদয় সূত্রধর, সুচর্ণা বিশ্বাস। তবলায় সহযোগিতা করেন অনিন্দ্য চক্রবর্তী। নৃত্য পরিবেশন করেন বন্ধু শীলা আক্তার।
সবশেষে সন্ধ্যায় বন্ধুসভার বন্ধু, ৬টি কলেজ ও ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কিছু অসহায় শিশুদের নিয়ে মাঠে বসেই চিতই পিঠা এবং মাংস খাওয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।