‘মা’কে নিয়ে মা দিবস

দিনাজপুর বন্ধুসভার পাঠচক্র
ছবি: বন্ধুসভা

‘মা’ শব্দটি খুবই ছোট। কিন্তু এর মধ্যে আছে এক অদ্ভুত পরিতৃপ্তি, আছে এক অনাবিল শান্তি। মা ছাড়া জীবন শুষ্ক মরুভূমি, জলহীন সমুদ্র ও বায়ুহীন প্রকৃতির মতো। মায়ের কোল যে কত বিশাল একটি আশ্রয়, তা একজন যোগ্য সন্তান ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারে না। এই পৃথিবীতে নিঃস্বার্থভাবে শুধু মা-ই আমাদের ভালোবাসতে পারে। মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় মা দিবস।

১৪ মে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় দিনাজপুর বন্ধুসভার পাঠের আসর। ‘পাঠচক্র ও মাতৃকথন’ শিরোনামে পাঠ করা হয় কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের লেখা ‘মা’ উপন্যাসটি।

‘মা’, মুক্তিযুদ্ধের মহীয়সী ও লড়াকু মায়ের প্রতিচ্ছবি। যেসব মা নিজেদের সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধে বিলিয়ে দিয়েছিলেন দেশের স্বাধীনতার জন্য। একজন মা এবং তাঁর বীর সন্তান আজাদের জীবনকাহিনি, সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধ ও জনজীবন সম্পর্কে চমৎকার সব ধারণা পাওয়া যায় বইটিতে।

দিনাজপুর বন্ধুসভার পাঠচক্র
ছবি: বন্ধুসভা

পাঠচক্র মূল্যায়নে বন্ধুসভার সহসভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সত্যিকার ইতিহাস ফুটে উঠেছে এই বইয়ের পাতায়। বইয়ের মা সাফিয়া বেগম একজন মহীয়সী নারী, যিনি দেশের জন্য নিজের ছেলেকে উৎসর্গ করেন। বইটি প্রত্যেকের পড়া উচিত।

পাঠচক্র শেষে বন্ধুদের কাছে শোনা হয় তাঁদের মায়েদের জীবনসংগ্রামের গল্পগুলো। এ সময় পড়াশোনার জন্য পরিবার থেকে দূরে থাকা বন্ধুরা মুঠোফোনে মায়ের সঙ্গে কথা বলে মা দিবসের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মায়ের জন্য ভালোবাসা হোক প্রতিদিনের। ভালো থাকুক পৃথিবীর সব মা।

পাঠচক্রে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুর নাদিম, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সাজেদুর রহমান, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক খেয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য তানভীর, বন্ধু বিপ্লব, প্রনিতা, বিথী প্রমুখ।

সাধারণ সম্পাদক, দিনাজপুর বন্ধুসভা