কাজী ইমদাদুল হক রচিত ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসের কাহিনিমূল আবদুল ও তার জীবনসংগ্রাম। প্রগতিশীল শিক্ষিত যুবক হিসেবে আবদুল্লাহ তৎকালীন সমাজের স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ভূমিকা রেখেছে সংস্কারে। উনিশ শতকের শেষের দিকে এবং বিশ শতকের শুরুতে মুসলিম সমাজের ধর্মীয় গোঁড়ামি, পশ্চাৎপদতা, কুসংস্কার ও ইংরেজি শিক্ষার প্রতি দীর্ঘকালীন উদাসীন্যভাবের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে উপন্যাসটিতে।
বাঙালি মুসলিম সমাজের অন্তঃসারশূন্য আভিজাত্যবোধের ফলশ্রুতিতে মুসলিম সমাজে দুর্যোগ নেমে এসেছিল। অধুনা সামন্ততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ভেঙে ধনতান্ত্রিক উৎপাদন প্রথার প্রবর্তন করে আগেরকার আশরাফ-আতরাফ ভেদ, পর্দাপ্রথা, পীরভক্তি, সুদ সমস্যা, ইংরেজি শিক্ষার নিন্দাবাদ—এসবের উৎকর্ষ কালক্রমে হ্রাস। কিন্তু সেদিনের সমাজজীবন ও ব্যক্তিমানসে এসব সমস্যা যে বিরোধ ও বাধার সৃষ্টি করেছিল ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাস তার একই মনোরম আলেখ্য।
গত ৩১ আগস্ট বইটি নিয়ে পাঠচক্র করে শাবিপ্রবি বন্ধুসভা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ইউসিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়। পাঠচক্র সঞ্চালনা করেন প্রচার সম্পাদক সাবিনা আক্তার।
কাজী ইমদাদুল হক রচিত ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাস নিয়ে আলোচনা করেন সাধারণ সম্পাদক নুর হাসনাত এবং স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক ইয়াসির সান।