আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে পাঠচক্রের আসর করেছে নোয়াখালী বন্ধুসভা। ১ মে বিকেলে মাইজদী পৌর পার্কে এটি অনুষ্ঠিত হয়। পাঠচক্রের বিষয় ছিল ‘মে দিবসের পটভূমি’।
শুরুতেই মে দিবসের পটভূমি নিয়ে প্রথম আলোয় প্রকাশিত দুটি ফিচার ‘যেভাবে এল মে দিবস’ এবং ‘মে দিবস আসে, মে দিবস যায়…’ পাঠ করা হয়। এরপর বন্ধুরা একে একে মে দিবসের পটভূমি নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং বর্তমান সময়ে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আলোচনা করেন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল বলেন, ‘রক্তের বিনিময়ে শ্রমিকদের তাঁদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সর্বক্ষেত্রে শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
প্রচার সম্পাদক সানি তামজিদ বলেন, ‘শ্রমিকেরা নিরক্ষর হওয়ায় তাঁদের ন্যায্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন নন। এমনকি তাঁরা মে দিবস সম্পর্কেও অবগত নন। আমাদের উচিত শ্রমিকদের এই অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা।’
সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহিম বলেন, ‘সচেতনতা আমাদের নিজেদের থেকে শুরু হোক। আমরা আমাদের বিভিন্ন কাজে যখন শ্রমিকদের সাহায্য নিই, যেন তাঁদের ন্যায্য মজুরি দেওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকি, শ্রমিকদের প্রতি সহিষ্ণু হই। আমাদের বাড়িতে গৃহকর্মে যাঁরা সাহায্য করেন, তাঁদের যেমন কম মজুরি দিয়ে অধিক কাজ আদায় করে না নিই।’
বন্ধু ইমতিয়াজ দোলন বলেন, ‘বর্তমানে কারখানার মালিকেরা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি তো দিচ্ছেনই না, বরং তাঁদের দিয়ে অমানুষিক পরিশ্রম করাচ্ছেন। ক্রেতাদের সচেতনতাই পারে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় করে দিতে।’
সভাপতি আসিফ আহমেদ বন্ধুদের গভীর চিন্তাধারার প্রশংসা এবং সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে পাঠের আসরের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
পাঠের আসরে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক আরাফাত শিহাব, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহিদা ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাহিদা ইতু, কার্যকরী সদস্য নয়ন চন্দ্র কুরি, রাফসান আহমেদ, পারভেজ হোসেন, বিপ্লব আহমেদ, রিপন ইসলাম, আয়াত উদ্দিন, মেহেদী হাসান, মো. জাবের, শাহাদাত হোসেনসহ আরও অনেকে।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা