‘সংগঠন করে নিজেকে সমৃদ্ধ করা যায়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে বিভিন্ন সংগঠন করতাম। এই সংগঠন করে যা শিখেছি, তা-ই বর্তমান চাকরিজীবনে কাজে লাগছে। সবারই উচিত ভালো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা। এতে নিজেকে সমৃদ্ধ করার অনেক সুযোগ থাকে।’
ময়মনসিংহ বন্ধুসভার উদ্যোগে সাংগঠনিক দক্ষতা কর্মশালায় এ কথা বলেন ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. শওকত হোসেন। ১১ জানুয়ারি বিকেলে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক পর্ষদ মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
তিন পর্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার সঞ্চালনা করেন উপদেষ্টা মো. আবুল বাশার। বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মোস্তাফিজুর রহমান।
বন্ধুসভা কী, বন্ধুসভা কীভাবে কাজ করে, বন্ধুসভা কেন অন্য সংগঠনগুলো থেকে আলাদা—এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ময়মনসিংহ কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ এখলাস উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘একজন সংগঠক বুদ্ধিমত্তা ও কাজ দিয়ে অন্যদের আকৃষ্ট করতে পারেন। তাই সংগঠনে দক্ষ সংগঠক অবশ্যই থাকতে হবে।’
সংগঠক কে, দক্ষ সংগঠক কী, দক্ষ সংগঠক হতে হলে কী কী করতে হয়, নেতৃত্বের বিকাশ ও নেতার গুণাবলি বিষয়গুলোর ওপর আলোচনা করেন ব্র্যাকের শাখা ব্যবস্থাপক তাহমিনা শেখ আশা। কার্যনির্বাহী কমিটির প্রত্যেক সদস্যকে তাঁদের দায়িত্ববোধ এবং কীভাবে আগামী এক বছর নিজেদের দায়িত্ব থেকে নতুন নতুন কাজ করতে পারবেন, সে বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার সাংগঠনিক কর্মপরিকল্পনা, সাংগঠনিক আত্মবিশ্বাস ও আত্মসচেতনতা বিষয়ের ওপর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘মানুষ তার ভাবনার সমান বড়। এ জন্য ভালো পরিকল্পনা করতে হবে এবং তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকতে হবে।’
কর্মশালার সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাবিয়াতুল বুশরা।
সভাপতি, ময়মনসিংহ বন্ধুসভা