বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের ১৬তম কার্যনির্বাহী সভা
জাতীয় বন্ধু সমাবেশের পূর্ব প্রস্তুতি ও অনুষ্ঠান পরিকল্পনা
দিন যত যাচ্ছে, ততই প্রথম আলো বন্ধুসভার ষষ্ঠ জাতীয় বন্ধু সমাবেশ ২০২৫ ঘনিয়ে আসছে। সারা দেশের বন্ধুদের উৎসাহ চোখে পড়ছে। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন কবে সমাবেশস্থলে আসবেন, অসংখ্য বন্ধুর সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন, আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন। এদিকে জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।
১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্ষদের ১৬তম কার্যনির্বাহী সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক। জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠান পরিকল্পনা নিয়ে নানা দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ‘যাঁরা বন্ধুসভা করেন, তাঁদের আমরা টাকা দিই না। তাঁরা নিজের পয়সা খরচ করে স্বেচ্ছাসেবা দেন। তাঁরা বন্ধুসভার ভালো চান, প্রথম আলোর ভালো চান, দেশের ভালো চান। সবার প্রতি প্রথম আলো আজীবন কৃতজ্ঞ। সবাই আমাদেরই লোক।’
এ সময় আনিসুল হক জাতীয় পর্ষদের বর্তমান কমিটির নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘বিগত দুই বছর বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের এই কমিটির নেতৃত্বে সারা দেশে দারুণ সব কাজ হয়েছে। অনেক নতুন নতুন সৃজনশীল উদ্যোগ নিয়েছে তারা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে কমিটিটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ ছিল। এই কমিটিকে ধন্যবাদ।’
জাতীয় পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মল্লিকের সঞ্চালনায় শুরুতেই পর্ষদের প্রত্যেকে বন্ধু সমাবেশে কী কী দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী, তা তুলে ধরেন। যদিও অনেক আগে থেকেই প্রত্যেকে সমাবেশ বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এই সভায় উল্লেখ করেন অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কে কোন বিভাগে কাজ করতে চান, সেই আগ্রহের কথা। পাশাপাশি বিগত দুই বছর দায়িত্বের সময়কালে নিজেদের কাজের মূল্যায়ন ও বন্ধুসভার কাজের মূল্যায়ন করেন তাঁরা।
সভাপতি জাফর সাদিক বলেন, ‘অনেকে মনে করে, আমরা একা কাজ করি। সত্যটা হলো, কোনো কাজই আমরা একা করি না, সবাইকে নিয়েই কাজ সম্পন্ন করা হয়। আমরা চাই, বন্ধুসভা থেকে বন্ধুরা নেতৃত্ব শিখুক। আমাদের সবাইকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে, সমাজের জন্য কাজ করতে হবে।’
জাতীয় পর্ষদের সভা শেষে ঢাকা মহানগরের বন্ধুদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় যৌথ সভা। যেখানে জাতীয় বন্ধু সমাবেশে ঢাকা মহানগরের সদস্যরা কে কোন বিভাগে দায়িত্ব পালন করতে চান, তা জানান। এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক বিভাগ। এই বিভাগের সদস্যরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এ ছাড়া ভেন্যু ব্যবস্থাপনা, অগ্রগামী টিম, তাঁবু ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, খাদ্য, রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য বিভাগে কাজ করছেন জাতীয় পর্ষদ ও ঢাকা মহানগরের সদস্যরা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পর্ষদের নির্বাহী সভাপতি মৌসুমী মৌ, সহসভাপতি মাহবুব পারভেজ, রুবাইয়াত সাইমুম চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী আনিস, ডা. রেদোয়ান মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক নূর-ই আলম, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদ ইমাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাকিব হাসান, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক সায়মন চৌধুরী, বইমেলা ও ম্যাগাজিন সম্পাদক খায়রুন্নাহার খেয়া, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক সাইফুল্লাহ সাদেক, কার্যনির্বাহী সদস্য আলাদিন আসাদ, নাফিউর নূর, হৃদয় সৈকত, সৌমেন্দ্র গোস্বামী, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার উপদেষ্টা সাইদুল হাসান, আশফাকুজ্জামান, সভাপতি মাহমুদা মুহসিনাসহ ঢাকা মহানগর বন্ধুসভা কার্যনির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যরা।