সবুজ শহর গড়তে সৈয়দপুর বন্ধুসভার উদ্যোগ
‘পৃথিবীর আবরণ বলতে আমি বৃক্ষকে বুঝি। তাই বৃক্ষনিধন মানেই হলো পৃথিবীর আবরণ খুলে ফেলা। আবরণ ছিন্ন না হোক, আবরিত হোক পৃথিবী বৃক্ষ দিয়ে।’ ১৫ আগস্ট সোমবার জাতীয় শোক দিবসে বৃক্ষ রোপণ করেছে সৈয়দপুর বন্ধুসভা। সেখানে এসব কথা বলেন সৈয়দপুর বন্ধুসভার উপদেষ্টা শাহাজাদী বেগম।
‘পৃথিবী একটাই, আসুন গাছ লাগাই’ প্রতিপাদ্যে ১৫ আগস্ট বিকেলে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস গোলচত্বরে পরিবেশের সৌন্দর্যবর্ধনকারী ১০টি গাছের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে সৈয়দপুর বন্ধুসভা। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসাইন। বৃক্ষের মধ্যে ছিল কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, পলাশ ও জারুলগাছ।
বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শামীম হোসাইন বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বন্ধুসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। গাছের চারাগুলো আগামী ১০-২০ বছর পর যখন পরিপূর্ণ আকার ধারণ করবে, তখন বিভিন্নভাবে মানুষের উপকারে আসবে।’
এবার মোট এক হাজার গাছের চারা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে সৈয়দপুর বন্ধুসভা। পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করা হবে। চারা রোপণের পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে সেগুলোর সঙ্গে বাশের কঞ্চি ও খাঁচা বেঁধে দিয়েছেন বন্ধুরা। চারা সংগ্রহ, মাটি খনন, গাছে কঞ্চি ও খাঁচা বেঁধে দেওয়া এবং পানি দেওয়ায় বন্ধুরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।
সৈয়দপুর বন্ধুসভার উপদেষ্টা ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি এম আর আলম ঝন্টু বলেন, ‘গাছ প্রকৃতির শোভা বাড়ায়, ভারসাম্য রক্ষা করে। বেঁচে থাকার জন্য আমাদের অক্সিজেন প্রয়োজন। আর সেই অক্সিজেন গাছ আমাদের দিয়ে থাকে এবং ক্ষতিকারক কার্বন ডাই–অক্সাইড গ্রহণ করে।’
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর বন্ধুসভার উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম, হোসনে আরা, সহসভাপতি ডালিম রায়, শ্রাবনী আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিফাত ই নুসরাত, আবুজার গিফারী, বন্ধু তাপস রায়, রেজাউল করিম, জয়া সরকার, হাসনাইন আয়েজ, ফেরদৌস আপূর্ব, শফিকুল ইসলাম, আয়শা আফিয়া, তাহমিন লাবিব ও সুবর্না তারিন প্রমুখ।
সাধারণ সম্পাদক, সৈয়দপুর বন্ধুসভা