শিশু‌দের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভা‌গি করল মোংলা বন্ধুসভা

মোংলা বন্ধুসভার সহমর্মিতার ঈদছবি: বন্ধুসভা

ওরা থা‌কে মোংলা নদীর তীরঘেঁষা খাসজ‌মি‌গু‌লো‌তে, কোনোরক‌মে গোলপাতার ছাউনিঘেরা ঝুপ‌ড়িতে। কেউবা মোংলা বন্দর কর্তৃপ‌ক্ষের বালুর মাঠের ব‌স্তি‌তে থাকে। পে‌টের তা‌গি‌দে অবিরাম ছু‌টে চলা তাদের প্রাত‌্যহিক কর্ম। যেখানে ঈদ মানে আর দশটা দিনের মতোই।

বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের আহ্বানে ‘সহমর্মিতার ঈদ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই পরিবারগুলোর শিশুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটে যান মোংলা বন্ধুসভার বন্ধুরা। ৮ এপ্রিল শিশুদের নতুন রঙিন জামা উপহার দেন তাঁরা।

উপহার পেয়ে শিশু‌দের আনন্দের যেন শেষ নেই! তাদের আনন্দ দেখে অভিভাবকদের চোখেমুখেও খুশির ঝিলিক দেখা দেয়। তাদের কাঁধ থেকে যে একটা চাপ নেমে গেল।

মোংলা বন্ধুসভার সহমর্মিতার ঈদ

কথা হয় শিশু মা‌হি‌রের পিতা রু‌বেল হোসেনের সঙ্গে। তি‌নি জানান, তাঁর স্ত্রী দীর্ঘদিন ধ‌রে জ‌টিল রো‌গে ভুগ‌ছেন। টাকার অভা‌বে চি‌কিৎসা করা‌তে পার‌ছেন না। টুকটাক কাজ করে ৫ জ‌নের সংসার কোনোরক‌মে চা‌লি‌য়ে যেতে পারলেও অতিরিক্ত অর্থ থাকে না। আবার সব‌ দিন উপার্জনও হয় না।

দীর্ঘশ্বাস ছে‌ড়ে তি‌নি আরও জানান, এমতাবস্থায় এই ঈদে কীভা‌বে সন্তান‌কে নতুন জামা কাপড় কিনে দেবেন, তা ভাব‌তেই চিন্তায় পড়ে যান। কিন্তু মোংলা বন্ধুসভা যখন সন্তা‌নের জন্য নতুন জামা নি‌য়ে আসে, তাঁর চিন্তার বোঝাটাও মাথা থেকে নেমে গেল।

উপহার বিতরণের সময় উপ‌স্থিত ছি‌লেন মোংলা বন্ধুসভার নতুন-পুরোনো বন্ধুরা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। সভাপ‌তি ধীমান মণ্ডল ব‌লেন, ‘প্রকৃত আনন্দ ‌নি‌হিত থা‌কে অপরের সু‌খে। আমরা য‌দি অপ‌রের বিপ‌দে পা‌শে দাঁড়া‌তে পারি, তাহলে আমা‌দের আগামীর দিনগু‌লো আরও সু‌খের হ‌বে।’

সভাপতি, মোংলা বন্ধুসভা