‘চাঁদের পাহাড়’ বই নিয়ে পাঠচক্র ও সাংগঠনিক বৈঠক

নোবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠচক্র ও সাংগঠনিক বৈঠকছবি: বন্ধুসভা

ভ্রমণ করতে কে না পছন্দ করে! আর সেই ভ্রমণ যদি এমন কোথাও হয়, যেখানে প্রতি পদে পদে জীবন হারানোর ভয়, নতুন কিছু আবিষ্কারের রোমাঞ্চ, তাহলে তো কথাই নেই। বাস্তবে এমন কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও, বিভূতিভূষণ বন্ধ্যোপাধ্যায়ের ‘চাঁদের পাহাড়’ বইটি কল্পনার জগতে বন্ধুদেরকে নিয়ে গেছে এক রোমাঞ্চকর কাল্পনিক ভ্রমণে।

১১ মার্চ বইটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুসভা। সন্ধ্যায় নোয়াখালীর মাইজদী পৌরশহরের একটি রেস্টুরেন্টে এটি অনুষ্ঠিত হয়। পাঠচক্র শেষে সাংগঠনিক বৈঠকে অংশ নেন বন্ধুরা।

নোবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠচক্র ও সাংগঠনিক বৈঠক
ছবি: বন্ধুসভা

ভারতবর্ষের এক ছোট্ট গ্রামে বেড়ে উঠা শংকর শৈশব থেকেই ডানপিটে প্রকৃতির। সে সারা পৃথিবীতে পদচিহ্ন আঁকার স্বপ্নে সব সময় বিভোর থাকত। ভাগ্যগুণে হঠাৎ তার সুযোগ এসে যায় আফ্রিকার রেলওয়ে বিভাগে চাকরি করার; যা তাঁর স্বপ্নপূরণের দুয়ার খুলে দেয়। তারপর ঘটতে থাকে একের পর এক রোমাঞ্চকর ঘটনা।

সেসব ঘটনা নিয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক ইতু রানী কুরি বলেন, ‘আমি যদি শংকরের মতো গুহায় পথ হারিয়ে যেতাম, তাহলে সেখানে ভয়েই হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতাম।’ সাংস্কৃতিক সম্পাদক স্বপ্নীল পাল তুর্য বলেন, ‘আমি অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছি। কিন্তু ছোটবেলায় চাঁদের পাহাড় বইটি পড়ার সময় যে শিহরণ অনুভব করেছি, সেই অনুভূতিটা বাস্তবে কোনো ভ্রমণেই পাইনি।’

প্রচার সম্পাদক, নোবিপ্রবি বন্ধুসভা