পাঠকের মনে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে ‘কোথাও কেউ নেই’

উপজেলার শান্ত দীঘিরপাড়ে পাঠচক্র করে কেরানীগঞ্জ বন্ধুসভাছবি: বন্ধুসভা

শরতের ধূসর মেঘ দেখলেই অনুভূতিটা যেন হয় কোথাও কেউ নেই। এই অনুভূতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কেরানীগঞ্জ বন্ধুসভা পাঠচক্রের আসর করেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার শান্ত দীঘিরপাড়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

পাঠচক্রে নির্ধারিত বই ছিল হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘কোথাও কেউ নেই’। বইটি নিয়ে আলোচনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হাসান। ‘কোথাও কেউ নেই’ বাংলা সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস, যা মানবিকতা, প্রেম ও সংগ্রামের একটি জীবন্ত প্রতিচ্ছবি হিসেবে পাঠকের মনে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।

উপন্যাসের প্রধান চরিত্র বাকের ভাই ও মুনা। বাকের ভাই একজন বখাটে প্রকৃতির লোক। মুনা বাকেরের না হওয়া প্রেমিকা। মুনার মামুন নামের ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। বাকের ভাই এলাকার বখাটে ছেলে হলেও অধিকাংশ মানুষ তাঁকে ভালোবাসত। কারণ, তিনি সমাজের বিভিন্ন অনাচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং তাঁর জীবনের লক্ষ্য থাকে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। শেষের দিকে বাকের ভাইকে এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মুনা বাকের ভাইয়ের ডেড বডি নিতে আসে। এই অংশে সবাই গম্ভীর হয়ে যায়। সবারই চোখের কোণে অশ্রু আসবে আসবে ভাব।

পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ইকবাল রতন, সভাপতি তানজিমা নুসরাত, সাধারণ সম্পাদক তাসনিম খান, বন্ধু রেবেকা সুলতানা, বহ্নি শিখা, শামসুন্নাহার শিরিন, নাজিউল্লাহ ভূইয়া, দেলোয়ার হোসাইন, অর্ণব সাইফুল, উত্তম সরকার, আনাস আহমেদসহ অন্য বন্ধুরা।

সাধারণ সম্পাদক, কেরানীগঞ্জ বন্ধুসভা