নিজেদের বাঁচার জন্য গাছকে বাঁচাতে হবে

ময়মনসিংহ বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ
ছবি: বন্ধুসভা

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশ দূষণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ ও দেশীয় ফলের স্বনির্ভরতা বাড়াতে ময়মনসিংহ বন্ধুসভা প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। ‘প্লাস্টিকমুক্ত পৃথিবী চাই, গাছ লাগাই, গাছ বাঁচাই’ প্রতিপাদ্যে ২৭ আগস্ট ময়মনসিংহ নগরীর দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেশীয় প্রজাতির ফলদ, ভেষজ ও শোভাবর্ধক চারাগাছ রোপণ করেন বন্ধুরা।

এদিন বেলা ১১টায় ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হাইস্কুল প্রাঙ্গণে একটি আমলকীর চারা রোপণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ রায়হান উদ্দিন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. রোকনুজ্জামান, ময়মনসিংহ বন্ধুসভার সহসভাপতি মেহেদী হাসান শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল হক প্রমুখ।

এর আগে বন্ধুরা ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন অধিদপ্তর ও জেলা হর্টিকালচার সেন্টার থেকে আমলকী, জলপাই, আতা, আমড়া, অর্জুন, ত্রেত্রাশি গাছের চারা সংগ্রহ করেন। এ ছাড়া চারা গাছকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হওয়ার সহায়ক হিসেবে বাঁশের খুঁটি সংগ্রহ করা হয়।

পরে বেলা তিনটায় নগরীর বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় ধাপে ফলদ ও শোভাবর্ধনশীল বৃক্ষ রোপণ করা হয়। বৃক্ষরোপণ শেষে বন্ধুরা কর্মসূচি নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করেন। সহসভাপতি মেহেদী হাসান শিশির বলেন, ‘পৃথিবীর বৈশ্বিক উষ্ণতা এখন বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে সবাইকে গাছ লাগাতে হবে এবং গাছের যত্ন নিতে হবে। নিজেদের বাঁচার জন্য গাছকে বাঁচাতে হবে।’

বৃক্ষের চারা রোপণ করছেন বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

প্রত্যেক বন্ধুকে নিজ নিজ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করে সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান সম্রাট বলেন, ‘নিজেরা বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করার পাশাপাশি অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি রোপণ করা চারা নিজ দায়িত্বে পরিচর্যা করতে হবে।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি সুব্রত কুমার সিংহ, উপদেষ্টা আবুল বাশার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আলমাস হোসাইন, অর্থ সম্পাদক ফজলে রাব্বি, জেন্ডার সমতাবিষয়ক সম্পাদক হালিমা মোস্তফা, বন্ধু রায়হান মুজিবসহ অন্য বন্ধুরা।

সাধারণ সম্পাদক, ময়মনসিংহ বন্ধুসভা