শীতের প্রখরতাকে প্রতিহত করতে সমাজের একশ্রেণির লোক যখন উষ্ণ পোশাক পরে ধোঁয়া ওঠা গরম পিঠা-পুলির স্বাদ নেয়, অপর দিকে তখন সমাজের আরেক শ্রেণির লোকেরা কনকনে শীতের রাতে বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করে নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। পর্যাপ্ত শীতের পোশাক না থাকার কারণে রাতে ঘুম আসা তাদের জন্য যেন দুঃস্বপ্ন।
সমাজের এই মানুষগুলোর মুখে একচিলতে হাসি ফোটানোর উদ্দেশে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে নোয়াখালী বন্ধুসভা। ১৯ জানুয়ারি বন্ধুরা নোয়াখালী সদরসংলগ্ন হরিজনপল্লির শিশুদের জন্য শীতের পোশাক উপহার হিসেবে পৌঁছে দেন।
নাতির জন্য শীতের পোশাক হাতে পেয়ে এক বুড়িমা বলেন, ‘বাপ-মা মরা এই নাতিরে লই আইজ তিন বছর চইলতেছি। খাওনই খাইতে পারি না, শীতের জামা আবার কিনমু কেমনে? ভগবানের কাছে আশীর্বাদ করি যেন তোমাগো ভালা অয়।’
শীতের পোশাক উপহার পেয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে ছিল উচ্ছ্বাস। কারটা বেশি সুন্দর! এই নিয়ে কথা বলতে থাকে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত শিহাব, দপ্তর সম্পাদক নয়ন চন্দ্র কুরী, বইমেলা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য জুনাইন কাওসার, বন্ধু অসিমসহ আরও অনেকে।
দপ্তর সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা