মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটিতে ২৩ জন নাবিক ছিলেন, সবাই বাংলাদেশি। তাঁদের মধ্যে একজন টাঙ্গাইল বন্ধুসভার বন্ধু ও সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক সাব্বির হোসেন। ৩১ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজটি মুক্তি পায়।
সোমালিয়ান জলদস্যুদের থেকে মুক্তি পাওয়া বন্ধু সাব্বির হোসেনকে সংবর্ধনা দিয়েছে টাঙ্গাইল বন্ধুসভা। ২৮ জুন বিকেলে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় তিনি সেই ভয়াল সময়ের স্মৃতি ও প্রতিকূলতায় টিকে থাকার অদম্য সহসের গল্প সবার সঙ্গে শেয়ার করেন।
সাব্বির হোসেন বলেন, ‘জীবনে কঠিন সময় আসবে। তখন ধৈর্য ধারণ করে স্রষ্টার ওপর বিশ্বাস রেখে নিজের বুদ্ধি ও পরিবেশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা অর্জন করতে হবে সবাইকে। এটি করতে পারলেই যেকোনো কঠিন মুহূর্ত মোকাবিলা করা সম্ভব। যাঁরা আমাদের জন্য দোয়া করেছেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। টাঙ্গাইল বন্ধুসভা থেকে আমি গড়ে উঠেছি। অনেক কিছুই শিখেছি। জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় যা কাজে লেগেছে।’
সাব্বির হোসেনের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে। বাবার নাম হারুনুর রশিদ। ২০১৪ সালে এসএসসি পাস করেন সাব্বির হোসেন। টাঙ্গাইলের কাগমারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আবদুল্লাহ নামের পণ্যবহনকারী জাহাজের মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল বন্ধুসভার উপদেষ্টা আইনজীবী জিনিয়া বখ্শ, মফিদুল ইসলাম খান, রকিবুল ইসলাম আসাদ, অজয় কর্মকার, সভাপতি আবু আহমেদ শেরশাহ, সাধারণ সম্পাদক তাসনিয়া শারমিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রাইসা ইসলাম, নাঈমুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় ঘোষ, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক মাহমুদা আক্তার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মামুন খান, জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক নুসরাত জাহান, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শারিফ হোসেন, বইমেলা সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, বন্ধু হামিদ আল মামুন, তৌফিক কিরণ, মেহরুব বকুল, সুস্মিতা মালাকারসহ অন্যান্য বন্ধুরা।
সাংগঠনিক সম্পাদক, টাঙ্গাইল বন্ধুসভা