দেশকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করে বন্ধুসভা

সাংগঠনিক সভা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: শাহাদৎ হোসেন

চলতি বছরের সার্বিক কার্যক্রম মূল্যায়ন, আগামী বছরের কর্মপরিকল্পনা ও নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন উপলক্ষে বিশেষ সাংগঠনিক সভা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভা। ১১ ডিসেম্বর বিকেলে জেলা শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সভা শুরু হয়। পরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় বিদায়ী বছরে বন্ধুসভার সদস্যদের বিভিন্ন কাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে আলোচনা হয়। বিগত বছরের ব্যর্থতা নিয়েও বন্ধুরা আলোচনা করেন। সেসব ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতা থেকে শেখার জন্য একে অপরকে উপদেশ দেন। পাশাপাশি ২০২৬ সালে কীভাবে সংগঠনের কার্যক্রম আরও গতিশীল ও সৃষ্টিশীল কাজ করা যায়, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়।

বন্ধুরা আগামী বছরের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মতামত দেন। সভায় নতুন কমিটির জন্য বন্ধুদের প্রত্যাশা ও ভাবনাগুলো গুরুত্ব পায়। এ ছাড়া সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি, নিয়মিত পাঠচক্র, বিতর্ক কর্মশালা, উপস্থাপনা, লেখালেখি নিয়ে কর্মশালার আয়োজন, নতুন উদ্যোগ গ্রহণ ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভাকে আরও সক্রিয় করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। জাতীয় বন্ধু সমাবেশ ২০২৫-এ অংশগ্রহণ ও প্রস্তুতি নিয়েও বিশদ আলোচনা করেন বন্ধুরা।

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও বন্ধুসভার উপদেষ্টা শাহাদৎ হোসেন বলেন, বন্ধুসভা বন্ধুদের দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করে। নেতৃত্ব গুণাবলিসহ নিজেকে দক্ষ ও প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বন্ধুসভা। বন্ধুসভার মাধ্যমে বন্ধুরা নিজেকে বিকশিত করার পাশাপাশি দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে পারে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন ও তুলি গোস্বামী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, সাবেক সহসভাপতি সাদ হোসেন ও অনন্যা সাহা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাহমিদা আক্তার ও ফৌজিয়া হক নূপুর, অর্থ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক সালমা আক্তার, প্রচার সম্পাদক শারমিন আক্তার, কার্যনির্বাহী সদস্য মাইনুদ্দীন রুবেল, আরেফিন শোভনসহ অন্য বন্ধুরা।

সাংগঠনিক সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভা