কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ভৈরব বইমেলা পরিষদের উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি ভৈরব বাজারের রাজকাছারি প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, ঢাকা মো. হেলাল উদ্দিন। বইমেলা চলে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান ভাষা আন্দোলন ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ভৈরব বইমেলা পরিষদ ২৮ বছর ধরে এই মেলার আয়োজন করে আসছে। প্রতিবারের মতো এবারও ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরা ‘বন্ধুসভা বইঘর’ নামে একটি স্টল পরিচালনা করেন।
‘বন্ধুসভা বইঘর’ পাঠকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সায়েন্স ফিকশন, কথাসাহিত্য, থ্রিলার, রোমান্স, রাজনীতি, ছোটদের কমিক, কবিতা, আত্মোন্নয়নমূলক বইসহ বিভিন্ন ধরনের বইয়ের সমাহার নিয়ে সাজানো হয়। প্রথমা প্রকাশনসহ নামীদামি প্রকাশকদের বই পাওয়া যায় একসঙ্গে, যাতে পাঠকেরা সহজেই তাঁদের পছন্দের বই সংগ্রহ করতে পারেন।
এবারের বইমেলায় বন্ধুসভা বইঘরে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থা চালু ছিল, যা পাঠকদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। ই-পেমেন্ট সিস্টেম চালুর ফলে পাঠকেরা আরও সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে তাঁদের পছন্দের বই কিনতে পেরেছেন।
বই বিক্রির পাশাপাশি বন্ধুসভা তাদের সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমও চালায়। স্টলে আসা অনেকেই বন্ধুসভার সঙ্গে যুক্ত হতে ফরম পূরণ করেছেন, যা সংগঠনের পরিধিকে আরও প্রসারিত করেছে।
জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক মহিমা মেধা বলেন, ‘প্রতিবছর বইমেলার স্টলসজ্জার কাজ করি মনের আনন্দে।’
প্রশিক্ষণ সম্পাদক শাহরিয়ার শাদাব ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুর রহমান বলেন, ‘বইমেলা এলে বইয়ের ভিড়ে কাটানো সময়ে ক্লান্তির ছাপ নেই; বরং বইয়ের সঙ্গে সময় কাটানোই আমাদের ভালো লাগার বিষয়।’
সভাপতি জান্নাতুল মিশু বলেন, ‘বইমেলা মানেই এক বিশেষ ভালো লাগার অনুভূতি। প্রতিবছর এই ফেব্রুয়ারিতে বইয়ের মলাটে লেগে থাকা তাজা ঘ্রাণ মন ভরিয়ে দেয়। জ্ঞান, গল্প, ইতিহাস আর সৃষ্টিশীলতার এ মহোৎসব যেন আমাদের সবার জন্যই এক আনন্দের ঠিকানা। আশা করছি, বাকি দিনগুলোও প্রাণোচ্ছল মুহূর্তে ভরে উঠবে বইয়ের সঙ্গে, পাঠকের সঙ্গে!’
সাধারণ সম্পাদক এরফান হোসেন বলেন, ‘পাঠকের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়েই সাজানো হয়েছে বন্ধুসভা বইঘর। নানা স্বাদের বইয়ের সমাহারে সমৃদ্ধ আমাদের স্টল।’
বইমেলা সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা